

টানা হারের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলছে দাপটের সাথে। একমাত্র টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হতে হয় সফরকারীদের। দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি হেরে বিপর্যস্ত জিম্বাবুয়ে। পুরো সিরিজের মত শেষ টি-টোয়েন্টিতেও দাপটের সাথে খেলতে চায় বাংলাদেশ, অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান অবশ্য বলছেন অতি আত্মবিশ্বাস ভর করছেনা তাদের।
আগেরদিন প্রথম টি-টোয়েন্টি ৪৮ রানে হারানো যায় জিম্বাবুয়েকে। আগামীকাল দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে আজ (১০ মার্চ) দুই দলেরই ছিলনা কোন অনুশীলন সেশন। টিম হোটেলেই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
সিরিজের শেষটাও দাপটের সাথে শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। শেষ দফায় পাকিস্তান সফরের আগে এমন একটা সিরিজ আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেও মত মেহেদীর। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেহেতু আমরা টেস্ট, ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খুব ডোমিনেট করে জিতেছি, কোন পাত্তাই দিইনি সেক্ষেত্রে ওভাবেই খেলবো।’
সফরের শুরু থেকে টাইগারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি টেইলর, আরভিন, উইলিয়ামসরা। তবে এরপরও শেষ ম্যাচের আগে অতি আত্মবিশ্বাসী হতে নারাজ মেহেদী। খেলাটা টি-টোয়েন্টি বলেই ঝুঁকি নিতে নারাজ এই অলরাউন্ডার। খেলতে হবে সিরিজের বাকী ম্যাচগুলোর মতই।
বেশিরভাগ ম্যাচেই টপ অর্ডারই শেষ করে আসছে ফলে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাও রান করতে মুখিয়ে আছে উল্লেখ করে মেহেদী বলেন, ‘ওভার কনফিডেন্স কারও মধ্যেই দেখা যাচ্ছেনা। গোল বলের খেলা, একটা পজিটিভ জিনিস হল ব্যাটসম্যানরা যেই খেলছে রানের মধ্যে আছে। অনেকে ব্যাটিং অর্ডারে সুযোগও পাচ্ছে না। ওয়ানডে থেকেই দেখেন হয়তো এক থেকে পাঁচ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি বলেই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে মত এই অলরান্ডারের, ‘নিচের ব্যাটসম্যানরা একটুও সুযোগ পাচ্ছেনা। তারাও চাচ্ছে রান করার জন্য। ওভারঅল আমরা ছোট করে দেখছিনা। গোল বল আর জিম্বাবুয়ে হোক বা যে কেউই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোন সময় মোমেন্টাম চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লাস্ট খেলাটা আমরা আরও বেশি সতর্ক ও মনযোগী হয়ে খেলা উচিৎ আমাদের বলে আমি মনে করি, ইন শা আল্লাহ সেটাই করবো।’