

৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সবধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে সাইফউদ্দিন বল হাতে নিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত বিসিএলে বিসিবি নর্থ জোনের হয়ে। পিঠের পুরোনো চোট পুনর্বাসনে ইংল্যান্ডে গিয়ে সার্জারি করার কথাও ছিল এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। তবে বিসিবির সঠিক গাইডলাইনে সার্জারি ছাড়াই অনেকটা সেরে উঠেছেন সাইফ। লম্বা বিরতির পর জাতীয় দলে ফেরা এই ক্রিকেটার বলছেন খুব একটা সমস্যা হবেনা মানিয়ে নিতে। কারণ হিসেবে জানালেন এর চাইতে বেশি সময় ফর্মহীনতায় দলের বাইরে ছিলেন।
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলেন সাইফউদ্দিন। একই বছর অভিষেক ওয়ানডেতেও, সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-টোয়েন্টিতে ডেভিড মিলার এক ওভারেই ৫ ছক্কা হাঁকান সাইফউদ্দিনকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দেখে ফেলেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। পরের বছর শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাদ পড়েন দল থেকে, প্রায় ৮ মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে ফেরেন সাইফউদ্দিন।
ঐ ৮ মাসের পর অবশ্য এত লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়নি ডানহাতি এই পেসারকে। এবার চোট পুনর্বাসনে সবধরণের ক্রিকেট থেকেই ৫ মাস দূরে ছিলেন সাইফউদ্দিন, মিস করেছেন বিপিএলসহ ভারত ও পাকিস্তান সফর। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিসিএল দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর ডাক পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও। অনেকটা প্রত্যাবর্তন বলা যায় তরুণ এই অলরাউন্ডারের জন্য।
বিরতি দিয়ে ফিরে আসার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাইফউদ্দিন বলেন, ‘চোটের কারণে হয়তো পাঁচ মাস বাইরে ছিলাম। কিন্তু আমি বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দলের বাইরে ছিলাম ৮ মাস। আমি এসবে অভ্যস্ত। এখন হয়তো চোট থেকে ফিরছি। আগেও এমন হয়েছে। এসব আসলে চাপ না। পেশাদার হিসেবে এটাই সত্যি। ভালো খেললে থাকব, খারাপ খেললে বাইরে চলে যাব।’
চোট সেরেছে অনেকটাই, বিসিএলে বল করার অনুমতি পেয়েছেন গুনে গুনে। তবে সময় গড়াতেই উঠে গেছে বাধ্যবাধকতা, দলের প্রয়োজনে বল করতে পারবেন সমার্থ্য অনুসারে, ‘আমি সম্পূর্ণ ছাড়পত্র পেয়েছি মেডিকেল টিম থেকে। এখন আমার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। বিসিএল খেলেছিলাম, সেখানে একটু বাঁধাধরা নিয়ম ছিল। এক ইনিংসে ৮ ওভার করব। সেটা দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন আশা করি শতভাগ গিয়ে খেলতে পারব।’
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ ধবল ধোলাই করাটা হতে পারে সেরা সাফল্য। সাইফউদ্দিনও নিজেদের এগিয়ে রেখে মনে করেন জিম্বাবুয়ে ৩-০ ব্যবধানেই হারানো সম্ভব, ‘অবশ্যই সম্ভব। তুলনামূলকভাবে আমরা জিম্বাবুয়ে থেকে অনেক এগিয়ে। মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে, টেস্টে ভালো করেছি। ওয়ানডেতেও শেষ করেকবারের দেখায় ধবলধোলাই করেছি। আমরা আশাবাদী ধবলধোলাই করতে পারব।’
ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা তাই জিম্বাবুয়েকে খাটো করে দেখতে অবশ্য নারাজ এই অলরাউন্ডার, ‘তবে ক্রিকেট খেলা, কিছুই কিন্তু বলা যায় না। জিম্বাবুয়েকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। ইংল্যান্ডের মতো দলও কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল টি-টোয়েন্টি। এসব তো জোর গলায় বলা কঠিন। তবে আমরা ধবল ধোলাই এর লক্ষ্য নিয়েই খেলব।’