

সবশেষ ভারত সফরের টি-টোয়েন্টি দলে তামিম ইকবালের স্থলাভিষিক্ত হয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ। ভারতের সফরের পর জায়গা পান পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা ধরে রাখা তরুণ এই ব্যাটসম্যান এবার ডাক পেয়েছেন ওয়ানডে দলেও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নাইম ইঙ্গিতটা পেয়েছেন আগেই, সাদা বলে নির্বাচকরাও তাকে বিবেচনায় রাখছেন ভালোভাবেই। নাইম নিজেও সাদা বলে খেলাটা উপভোগ করছেন।
সাদা বল তথা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নাইম এমনিতেই দুর্দান্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের হয়ে করেছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (৮০৭)। ৪০ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে গড় ৪৬.৬৯, সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে গড় ৩১.৭৫। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দিয়েছেন তার প্রমাণ, ৫ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে গড় ৩৭.২০। তবে লাল বলে চিত্রটা একদমই ভিন্ন, ৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে বাঁহাতি এই ওপেনারের গড় মাত্র ১৬.৬৩। সদ্য সমাপ্ত বিসিএলেও ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলা একমাত্র ম্যাচে দুই ইনিংসেই ফিরেছেন খালি হাতে।
ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে নাইম বলেন, ‘ভালো লাগছে, ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছি। স্যারদের (নির্বাচক) সঙ্গে কথা হয়েছিল, যখন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বিসিবি একাদশের খেলা হচ্ছিল, তখন বলেছিল সাদা বলে অনুশীলন করতে, সামনে খেলা আছে। কথা হয়েছে আগেই।’
সাদা বলে খেলাটা নিজেও উপভোগ করেন উল্লেখ করে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সাদা বলের খেলা খুব উপভোগ করি। লাল বল সম্প্রতি খুব একটা ভালো সময় যায়নি। বাড়িতে গিয়ে সাদা বলে কাজ করেছি। কিছু জিনিস আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে কাজ করার জন্য। এসব নিয়েই কাজ করছি। প্রস্তুতি সব মিলিয়ে ভালো।’
ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন তবে একাদশে সুযোগ পাওয়াটা খুব সহজ হবে না নাইমের জন্য। নাইম ছাড়াও তরুণদের মধ্যে প্রথম বার ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন নাইমের বন্ধু আফিফ হোসেনও। সিনিয়র ও প্রতিষ্ঠিতদের ভীড়ে একাদশে সুযোগ পাওয়ার চ্যালেঞ্জটাই উপভোগ করেন বলে জানালেন নাইম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে মাশরাফির দল।
তার আগে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তরুণ এই ব্যাটসম্যান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলার ব্যাপারটা মজা লাগে আমার কাছে। সব সহজে হয়ে গেলে ভালো লাগে না। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটা উপভোগ করি। সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে খারাপ-ভালো এসব নিয়ে আলোচনা হয়। চাপের মুহূর্ত গুলো কিভাবে সামলাতে হয়, এসব নিয়ে কথা হয়।’
বয়সভিত্তিকে লাল বলে খেলেই পাইপলাইনে আসেন নাইম, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে খেই হারান দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে। সময় নিয়ে কাজ করলে সাদা বলের মত লাল বলে ভালো করবেন বলে বিশ্বাস বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের, ‘আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে এসেছি, তার আগে লাল বলে খেলে এসেছি। মাঝে অনেক বড় একটা বিরতি ছিল। লাল বল নিয়ে কাজ করা হয়নি। অনুশীলন করলে ঠিক হয়ে যাবে। ছোট ছোট ভুল হচ্ছে, এই জন্য আমি লাল বলে সফল না। আমার লাল বলে আরও বেশি অনুশীলন করা দরকার।’