

১ম ইনিংসে ৪৮৬ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল বিসিবি সাউথ জোন। ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনকে ১ম ইনিংসে ২৭৩ রানের বেশি না করতে দিয়ে নিশ্চিত করেছিল ২১৩ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় আব্দুর রাজ্জাকের দল। ফাইনালে জেতার জন্য ৩৫৪ রানের লক্ষ্য পাওয়া ইস্ট জোন পারেনি কাছাকাছি যেতে। ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতে হ্যাটট্রিক শিরোপা নিশ্চিত করেছে বিসিবি সাউথ জোন।
বিসিএলে (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) এর আগের ৭ আসরের মধ্যে ৪ আসরেই চ্যাম্পিয়ন ছিল সাউথ জোন। এই দিয়ে ৫ম বারের মতো বিসিএলের শিরোপা জিতলো সাউথ জোন, গত তিন বারের আসরে তিন বারই (হ্যাটট্রিক শিরোপা)। গত দুই বার সহ মোট চারবার ফাইনালে খেলেও শিরোপা ছুয়ে দেখা হয়নি ইস্ট জোনের।
বিসিএলের রোল অব অনারঃ
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | রানার আপ |
২০১২-১৩ | সেন্ট্রাল জোন | নর্থ জোন |
২০১৩-১৪ | সাউথ জোন | নর্থ জোন |
২০১৪-১৫ | সাউথ জোন | ইস্ট জোন |
২০১৫-১৬ | সেন্ট্রাল জোন | ইস্ট জোন |
২০১৬-১৭ | নর্থ জোন | সাউথ জোন |
২০১৭-১৮ | সাউথ জোন | নর্থ জোন |
২০১৮-১৯ | সাউথ জোন | ইস্ট জোন |
২০১৯-২০ | সাউথ জোন | ইস্ট জোন |
ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ফরহাদ রেজা বল হাতেও ছিলেন কার্যকরী। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনিই। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৫০১ রান করা এনামুল হক বিজয় পেয়েছেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার। সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ৪ ম্যাচে ২২ উইকেট পাওয়া আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা বোলারের পুরস্কার।
ফাইনালের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বিসিবি সাউথ জোন ৪৮৬/১০ ও ১৪০/১০ (৩৫.১), রাব্বি ১, বিজয় ১০, মাহমুদউল্লাহ ১৭, শুভ ১৬, সোহান ৮, আল আমিন ৮, ফরহাদ ৩, মেহেদী ৫৩, শফিউল ৫, রাজ্জাক ৩, আল আমিন ০*; হাসান ১০.১-২-৩৫-৪, রনি ১২-১-৫২-৪, রুয়েল ৫-০-২২-২।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ২৭৩/১০ ও ২৪৮/১০ (৬৮.৪), পিনাক ১৬, আশরাফুল ৫, মাহমুদুল ৮১, ইমরুল ৩, আফিফ ৩১, তামিম ১৭, জাকির ৪২, রনি ১২, সাকলাইন ১১, হাসান ১৯, রুয়েল ২*; শফিউল ১৫-১-৫৬-৩, আল আমিন ৯-১-৩১-১, ফরহাদ ১৭-৫-৫১-২, মেহেদী ১৮.৪-১-৬৬-৩, মাহমুদউল্লাহ ৬-১-২০-১।
ফলাফলঃ বিসিবি সাউথ জোন ১০৫ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন।
ম্যান অব দ্যা ফাইনালঃ ফরহাদ রেজা (বিসিবি সাউথ জোন)।
টুর্নামেন্ট সেরাঃ এনামুল হক বিজয় (বিসিবি সাউথ জোন)।
টুর্নামেন্ট সেরা ব্যাটসম্যানঃ এনামুল হক বিজয়।
টুর্নামেন্ট সেরা বোলারঃ আব্দুর রাজ্জাক (বিসিবি সাউথ জোন)।