

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হারই সঙ্গী হল ভারতের। ১০ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ২০০ পেরোতে পারেনি পুজারা-কোহলিরা।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৬৫ রানের জবাবে কিউইদের ৩৪৮। ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ৪ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে।
চতুর্থ দিন ভারতকে গুটিয়ে দিতে ১৬ ওভারের বেশি লাগেনি বোল্ট-সাউদিদের। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করা আজিঙ্কা রাহানে বোল্টের শিকার হওয়ার আগে যোগ করতে পারেন মাত্র ৪ রান। ১৫ রানে অপরাজিত থাকা হনুমা বিহারি সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন কোন রান যোগ না করেই।
শেষদিকে রিশাব পান্টের ২৫ ও ইশান্ত শর্মার ১২ রানে কোনরকম ইনিংস হার এড়ায় ভারত। ১৯১ রানে অলআউট হয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের জন্য লক্ষ্যটা ৯ রানের বেশি দিতে পারেনি কোহলির দল। ৫ উইকেট শিকার টিম সাউদির, চারটি ট্রেন্ট বোল্টের। বাকি উইকেটটি নেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১.৪ ওভারের বেশি সময় নেয়নি নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম (৭) ও টম ব্লান্ডেল (২)। এই হারে ২০১৩ সালের পর প্রথম ১০ উইকেটে হারলো ভারতীয় দল। ৯ ম্যাচ ও ১ বছরের বেশি সময় পর টেস্ট হারলো কোহলি এন্ড কোং।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ভারত প্রথম ইনিংস ১৬৫ ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৯১/১০ (৮১ ওভার), পৃথ্বী ১৪, আগারওয়াল ৫৮, পুজারা ১১, কোহলি ১৯, রাহানে ২৯, বিহারি ১৫, পান্ট ২৫, অশ্বিন ৪, ইশান্ত ১২, শামি ২*, বুমরাহ ০; সাউদি ২১-৬-৬১-৫, বোল্ট ২২-৮-৩৯-৪, গ্র্যান্ডহোম ১৬-৫-২৮-১, জেমিসন ১৯-৭-৪৫-০, প্যাটেল ৩-০-১৮-০।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩৪৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস ৯/০ (১.৪ ওভার), ল্যাথাম ৭*, ব্লান্ডেল ২*; ইশান্ত ১-০-৮-০, বুমরাহ ০.৪-০-১-০।
ফলাফলঃ নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরাঃ টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)।