

মিরপুরে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের ৩য় দিনের খুঁটিনাটি আপডেট এই লাইভ রিপোর্টে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ৩য় দিন শেষেঃ
জিম্বাবুয়ে ২৬৫/১০ ও ৯/২ (৫), ম্যাসভাউর ০, কাসুজা ৮*, টিরিপানো ০, টেইলর ১*; নাইম ৩-১-৪-২।
বাংলাদেশ ৫৬০/৬ (১৫৪ ওভারে ইনিংস ঘোষণা), তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ২০৩*, মিঠুন ১৭, লিটন ৫৩, তাইজুল ১৪*; টিরিপানো ৩০-৬-৯৬-১, নিয়াউই ২৭-৩-৮৭-১, সিকান্দার ৩০-২-১১১-১, শুমা ২৫-২-৮৫-১, লোভু ৪২-৪-১৭০-২।
বাংলাদেশ ২৮৬ রানে এগিয়ে।
নাইমের জোড়া আঘাতঃ
প্রথম ইনিংসে বিরুদ্ধ কন্ডিশনেই নাইম হাসান দেখিয়েছেন ঝলক। মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে ২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় জিম্বাবুয়ে, কিন্তু এই ৫ ওভার পাড়ি দিতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় ক্রেইগ আরভিনের দলের। নাইম হাসানের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পরিষ্কার বোল্ড প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা প্রিন্স ম্যাসভাউর। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা টিরিপানোও লিটন দাসকে পরের বলে ক্যাচ দিলে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগে নাইমের। হ্যাটট্রিক বল আবশ্য ভালোভাবেই সামলে নেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর।
ইনিংস ঘোষণাঃ
১৫৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। ১ম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ২৯৫ রানের। ক্যারিয়ারের ৩য় ডাবল সেঞ্চুরি করে ২০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম।
ফিফটি করেই আউট লিটনঃ
টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ৫ম ফিফটি তুলে নেবার কিছুক্ষণ পরেই সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। ৯৫ বলে ৫ চারে ৫৩ রান করে সিকান্দার রাজার বলে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।
বাংলাদেশের ৫০০ঃ
অ্যাইন্সলে লোভুর বলে ৩ রান নিয়ে দলের রান ৫০০ পার করেন লিটন দাস। ১৪৫ তম ওভারের ২য় বলে ৫০০ পূর্ণ হলো বাংলাদেশের। এই দিয়ে টেস্টে ১০ম বারের মতো স্কোরবোর্ডে ৫০০ বা তার বেশি রান জমা করলো বাংলাদেশ। ডাবল সেঞ্চুরির পথে আছেন মুশফিকুর রহিম, ফিফটির পথে লিটন দাস।
মুশফিকের দেড়শঃ
ভিক্টর নিয়াউচির বলে চার মেরে ১৫০ রান পূর্ন করলেন (২৪ চারে) মুশফিকুর রহিম। এই দিয়ে টেস্টে ৪র্থ বার ১৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন মুশফিক। যার দুইটিই (আজকের সহ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ইতোমধ্যেই ৪৫০ রানের গন্ডি পার করেছে বাংলাদেশ দলের রান।
৩য় দিন চা বিরতি পর্যন্ত-
বাংলাদেশ ৪৪২/৫ (১২৭), তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ১৪৩*, মিঠুন ১৭, লিটন ৯*; টিরিপানো ৩০-৬-৯৬-১, নিয়াউচি ২৩-৩-৭৪-১, শুমা ১৯-২-৫৮-১, লোভু ২৯-৩-১১২-২।
জিম্বাবুয়ে ২৬৫/১০ (১০৬.৩), ম্যাসভাউর ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, টিরিপানো ৮, লোভু ০, শুমা ০, নিয়াউচি ৬*; রাহি ২৪-৬-৭১-৪, নাইম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২।
বাংলাদেশ ১৭৭ রানে এগিয়ে।
রিভিউ নিয়েও পার পেলেন না মিঠুনঃ
২৩ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে লোভুর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলেন মোহাম্মদ মিঠুন। উইকেটের পেছনে চাকাভাকে ক্যাচ দেন তিনি। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি, তবে শেষরক্ষা হয়নি। দলকে ৪২১ রানে রেখে ৫ম ব্যাটসম্যান হিসাবে সাজঘরে ফেরেন মিঠুন।
সাজঘরে ফিরলেন মুমিনুলঃ
অ্যাইন্সলে লোভুর টেস্ট ক্রিকেটে ১ম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ দলপতি ২৩৪ বলে ১৪ চারে করেন ১৩২ রান। লোভুর বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আর এতে করে ভাঙে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ২২২ রানের জুটি। ৬০.৪ ওভার স্থায়ী ৪র্থ উইকেট জুটি রানের বিচারে টেস্টে বাংলাদেশের ৯ম সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪র্থ উইকেটে এটি বাংলাদেশের ২য় সর্বোচ্চ রানের জুটি। সর্বোচ্চ রানের জুটিটাও মুমিনুল-মুশফিকের দখলে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ২৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুইজন, প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসাবে উইকেটে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১১৩ তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকান মিঠুন। এই বাউন্ডারির তাৎপর্য- এই বাউন্ডারিতেই ৪০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে বাংলাদেশ।
মুশফিকের সেঞ্চুরিঃ
২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ২১৯* রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপরের ১০ ইনিংসে ২ বার ৫০ এর গন্ডি পার করলেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না মুশফিকুর রহিম। ১৫ মাস পর টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে ঐ জিম্বাবুয়েকেই বেঁছে নিলেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে মোহাম্মদ আশরাফুলকে (৬) সেঞ্চুরি সংখ্যায় পেছনে ফেললেন মুশফিক (৭)।
অপেক্ষায় রেখে লাঞ্চ বিরতিতে গেলেন মুশফিকঃ
৩য় দিনের ১ম সেশন কোন বিপদ ছাড়াই পার করলো বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক মিলে এই সেশনে যোগ করেছেন ১১১ রান, দুজন মিলে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৩.৯৬। ১১৯ রান করে অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক, সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে আছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে লিড নিয়েছে ৮৬ রানের।
মুমিনুলের সেঞ্চুরিঃ
২০১৮ সালের পর এই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল হক। মুমিনুল হক নিজের ৮ম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১৮ সালের নভেম্বরে, চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৫ মাস পরে আজ পেলেন ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি, অধিনায়ক হিসাবে ১ম। আজকের আগে সর্বশেষ ১৪ ইনিংসে মুমিনুলের ছিল ১ টি মাত্র ফিফটি। চলমান টেস্টের আগে বলেছিলেন দলের কেউ না কেউ বড় ইনিংস খেলবে, গণমাধ্যমের সামনে কথাই দিয়েছিলেন। কথা রাখছেন মুমিনুল।
View this post on Instagram
এই রেকর্ড নিশ্চিত করেই বদলাতে চাইবেন মুমিনুল হক! #BANvZIM #Cricket #Bangladesh
মুশফিকের ফিফটিঃ
টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২ তম ফিফটির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। ৩২ রানে অপরাজিত থেকে ২য় দিন শেষ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ২৫ রানে। তৃতীয় দিনে এসে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির পথে আছেন মুমিনুল হক, দুজনের জুটিতে ইতোমধ্যে এসেছে ১০০ রান।
২য় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ২৪০/৩ (৭১), তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ৭৯*, মুশফিক ৩২*; নিয়াউচি ১৩-২-৪১-১, টিরিপানো ১৫-৩৪০-১, শুমা ১২-০-৪৬-১।
জিম্বাবুয়ে ২৬৫/১০ (১০৬.৩), ম্যাসভাউর ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, টিরিপানো ৮, লোভু ০, শুমা ০, নিয়াউচি ৬*; রাহি ২৪-৬-৭১-৪, নাইম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২।