

সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর দেশের মাটিতে এই প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সাকিব না থাকায় স্পিন-বিভাগ ভুগছে কিছুটা হলেও। কাধে দায়িত্ব নেয়া তাইজুলের অন্ধকার দিনে তরুণ স্পিনার নাইম হাসান আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিনে একাই উজ্জ্বল। পেসারদের ছাপিয়েও আলো ছড়িয়েছেন কেবল নাইম, শিকার করেন ৪ উইকেট। নাইমের মতে, সাকিব আল হাসান থাকলে দলের জন্য আরও ভালো হতো।
সাকিব আল হাসান ছাড়া বর্তমানে টেস্টে বাংলাদেশের স্পিনারদের নাম রয়েছে কেবল তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসানের। মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়মিত নন একাদশে কিংবা স্কোয়াডেও। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বলতে গেলে দলের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব তাইজুলের কাঁধেই। তাইজুল ছাড়াও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একাদশে আছেন নাঈম হাসান।
আজকের দিনে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার নিঃসন্দেহে নাইম হাসান। লম্বা স্পেলে বল করেছেন, ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। এর আগে মাত্র চার টেস্ট খেলা নাইমকে আজ মিরপুরে দেখা গেছে আরও পরিণত ভঙ্গিতে। নাইমের আক্রমণেই শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিনারদের জন্য সুবিধা নাই এমন উইকেটেও ৩৬ ওভার বল করে ৬৮ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
৫৬ টেস্টে ২১০ উইকেট পাওয়া সাকিবের অভাব মাঠে ভালোভাবেই বুঝছেন নাইম। সংবাদসম্মেলনে প্রশ্ন- সাকিবের না থাকা কিভাবে কাটিয়ে উঠছে দল- প্রশ্ন শুনতেই নাইম হাসানের উত্তর,
‘সাকিব ভাই থাকলে আরও ভালো হয়তো। এখন আমাদের দুইজনের উপর (তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান) দায়িত্ব। তবে প্রেসার বলতে কিছু নেই, যখনই আমি বল হাতে নিই তখন দায়িত্বটা পালন করি।’
সাকিব আল হাসানের মতো অলরাউন্ডার টেস্টে কমই দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব থাকা মানেই দলের দুইজনের কাজ একসঙ্গে হয়। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড তো বেশ ঈর্ষণীয়। ৬ টেস্টে রান করেছেন ৪৭৪। ২৩.২৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ২৬টি। সাকিব থাকলে বাংলাদেশ দল বাড়তি সুবিধা পায় তা আরেকবার মনে করলেন নাইম,
‘সাকিব ভাই থাকলে সুবিধা হয়। সাকিব ভাইয়ের থেকে ব্যাটিং, বোলিং দুইটা একসাথে পাওয়া যায়।’