

উপমাহাদেশের কন্ডিশন মানেই স্পিনারদের রাজত্ব, এমনটাই ছিল বছরের পর বছর ঐতিহ্য। তবে সেই ধারা থেকে বহু আগেই বের হয়ে এসেছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বাংলাদেশ যেন স্পিন নির্ভরতা থেকে বের হয়েই আসতে পারছেনা, ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট তৈরি করে চট্টগ্রামে উল্টো বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের কাছে। যদিও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে স্পিন দিয়ে কাবু করা সম্ভব। কিন্তু নিজেদের ভারসাম্য বজায় রাখা ও দেশের বাইরে খেলানোর জন্য পেসার প্রস্তুতের লক্ষ্যে ঘরর মাঠেও পেস নির্ভরতা বাড়ানোর পক্ষে জোর দিচ্ছেন টাইগার কোচ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়েই শুরু হচ্ছে সেই মিশন, ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দিয়েছেন সেই বার্তা, সায় দিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। আগামীকাল (২২ ফেব্রুয়ারি ) থেকে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে খেলানো হতে পারে দুই পেসার। পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে তিনজন পেসার নিয়েই নেমে পড়তেন ডোমিঙ্গো জানালেন সেটিও।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা সম্ভবত দুই পেসার নিয়ে খেলবো। একজন পেসার নিয়ে খেলাটা আমাদের দলের জন্য খুব বেশি ফল বয়ে আনবেনা। আমরা তিন পেসার নিয়েই নামতাম যদি সাত নম্বরে ব্যাট করার মত একজন থাকতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই মুহূর্তে সেটা আমাদের নেই। আমি সবসময় তিনজন পেসার নিয়ে খেলার পক্ষে। এখন তিন পেসার নিয়ে নামলে আমাদের ব্যাটিং টা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়বে যেহেতু দুইজন স্পিনার নিয়ে নামবো।’
‘আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সাইফউদ্দিন পুরোপুরি ফিট হয়ে আসার আগ পর্যন্ত কিংবা এমন কাউকে পাওয়া যে সাত নম্বরে ব্যাট করবে এবং দিনে অন্তত ১০-১৫ ওভার বল করতে পারবে। এই টেস্টে আমরা সম্ভবত দুই স্পিনার নিয়ে খেলছি।’
ঘরের মাঠে নিয়মিত এক পেসার নিয়ে খেলে দেশের বাইরে তিন পেসার খেলানোটা কঠিন বলে মনে করেন রাসেল ডোমিঙ্গো। নিয়মিত না খেলা পেসারদের বেছে নিতে কষ্ট হয় উল্লেখ করে টাইগার কোচ বলেন, ‘আমরা যখন ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াতে যাই তখন তিনজন পেসার নির্বাচন কঠিন হয়ে পড়ে কারণ কেউই নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়না। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমাদের মূল শক্তি স্পিন এটা আমরা জানি। কিন্তু আমাদের এমন উইকেটে খেলা শিখতে হবে যেখানে ব্যাটসম্যানরা রান পাবে, পেসাররাও সুবিধা পাবে।’
‘স্পিন নির্ভর উইকেটে খেললে পেসাররা ভালো করার সম্ভাবনা থাকেনা এমনকি তারাও ভাবতে শুরু করে তারা বোধহয় ভালো বোলার নয়। স্পোর্টিং উইকেটে খেলা পক্ষে আমার অবস্থান শক্ত। কারণ আমরা বাংলাদেশে এবং বাইরেও ভালো খেলতে চাই। স্পিন উইকেটে খেললে সেটার সম্ভাবনা একদমই কম থাকে।’
ডোমিঙ্গোর প্রক্রিয়া মনে ধরেছে পাশে বসা কাপ্তান মুমিনুল হকেরও, ‘আপনি যদি সবসময় একই স্ট্র্যাটেজিতে আগান তাহলে অন্য দলগুলো সহজেই আপনাকে ক্যাচ আপ করার একটা সুযোগ থাকে। আপনি যদি পেস বোলার না খেলান তাহলে ও (কোচ) যেটা বলল বিশেষ করে বাইরে গেলে আমাদের কিন্তু খুব স্ট্রাগল করতে হয় কারে খেলাবে আমাকে না আপনাকে। তো জিনিসগুলো বের হচ্ছে আস্তে আস্তে আমার কাছে মনে হয়।’