
সংগ্রহীত ছবি

বিকেএসপির (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) প্রধান প্রশিক্ষক মন্টু দত্ত। তার যেকোন ছাত্র সেঞ্চুরি করলে কিংবা ৫ বা তার বেশি উইকেট নিলেই সেই ছাত্রকে উপহার হিসাবে ১০০ টাকা করে দেন। সর্বশেষ এই পুরষ্কার পাওয়া ছাত্র মাহমুদুল হাসান জয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়।
বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে দেশে ফেরা জয় সহ মোট ৬ জন আজ বিকেএসপিতে আসেন বিসিবি একাদশের হয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে। সেখানেই শ্রদ্ধেও শিক্ষকের কাছ থেকে এই বিশেষ পুরষ্কার পান জয়। এই নিয়ে ৯ম বারের মতো এই পুরষ্কার আদায় করে নিলেন জয়।
ছাত্রদের এমন পুরষ্কার দিয়ে খুশি হওয়া মন্টু দত্ত বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমি চাই ও সব সময় আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিক। একবার ৯৯ রানে (নিউজিল্যান্ড সফরে) আউট হওয়ায় মিস করেছে (১০০ টাকা পুরষ্কার)। যুব ওয়ানডেতে এই পর্যন্ত সে ছয়বার নিয়েছে। সবমিলিয়ে নিয়েছে ৯ বার।’
যিনি পুরষ্কার পেলেন সেই মাহমুদুল হাসান জয় যারপরনাই খুশি। বলে রাখলেন সামনেও এমন পুরষ্কার নিতে চান,‘খুব ভালো লাগছে (পুরষ্কার পেয়ে)। আমি সব সময়ই স্যারের কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়ার চেষ্টা করি। সামনে আরও নেব ইন শা আল্লাহ।’
ছাত্রদের এমন পুরষ্কার দেওয়া মন্টু দত্তের কাছে নতুন কিছু নয়। ২০০০ সাল থেকেই এমনটি করে আসছেন তিনি। অনেকে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দিতে বলে অবশ্য। তবে মাসে এই বাবদ ১৫০০-১৮০০ টাকা খরচ করা মন্টু দত্ত দেন ১০০ টাকা করেই।
সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাসরা এই পুরষ্কার পেয়েছেন শিক্ষক মন্টু দত্তের কাছ থেকে। সবচেয়ে বেশিবার পেয়েছেন লিটন দাস। এখনো সেঞ্চুরি করলে নিজে থেকে এই পুরষ্কার ছাত্ররা নিয়ে যান জানিয়ে মন্টু দত্ত বলেন, ‘লিটন আমার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৪ থেকেই সে সেঞ্চুরি করত আর আমি টাকা দিতাম। কিছুদিন আগে লিটন এসে বললো- স্যার, ৩০০ টাকা বকেয়া আছে, দিয়ে দেন! আমি হাসতে হাসতে টাকাটা দিয়ে দিলাম। সেঞ্চুরি করলেই লিটন-সৌম্যরা টাকা নিয়ে যায়।’