

মূলত ব্যাট হাতে মিডল অর্ডার সামলানোর দায়িত্ব শাহাদাত হোসেন দিপুর। কিন্তু দলের প্রয়োজনে অফ স্পিনও করতে দেখা যায় এই তরুণ ক্রিকেটারকে। যুব বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দলে ভালো অবদান রাখলেও দলের মূল বোলারদের ভালো বল করার সুবাদে নিতে হয়নি বল হাতে। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ৬ ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে।
6 Champs are playing together for BCB XI.
???? BCB #BCBXIvZIM pic.twitter.com/9CN3ghHWDS
— Cricket97 (@cricket97bd) February 18, 2020
আগে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে বল হাতে ঝলক দেখান শাহাদাত হোসেন দিপু। ৮ ওভারের টানা স্পেলে ২ মেডেনেসহ ১৬ রান খরচায় তুলে নেন তিন উইকেট। তার তিন উইকেটের সাথে অধিনায়ক আল আমিনের দুই ও শরিফুল ইসলামের এক উইকেটে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দিনশেষ করে জিম্বাবুয়ে।
বিশ্বকাপে হাত ঘুরাননি এক ওভারও, দেশে ফিরে কোন অনুশীলন ছাড়াই বল হাতে নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিসিবি একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। বিশ্বকাপে বল না করার কারণ জানাতে গিয়ে শাহাদাত বলেন, ‘আসলে দেখেন ওয়ার্ল্ড কাপে আমাদের কিন্তু অনেকগুলো বোলিং অপশন ছিল। চারটা মেইন বোলারের সাথে দুজন অপশনাল বোলার ছিল। তো ওই ক্ষেত্রে ৬ টা বোলারই ব্যবহার করতো। বাই চান্স যদি খারাপ করতো তাহলে আমি আসতাম আরকি। খারাপও করেনি আমারও আসতে হয়নি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে মিরপুর টেস্টে মাঠে নামবে তামিম, মুমিনুলরা। তার আগে নিজেরা খেলার সুযোগ পেয়ে জিম্বাবুয়েকে দেখলেন আগের মতই, ‘দেখেন ওরা আগেও যা আছে তেমনই লাগতেছে আমার মতে। দলটা ভালোই লাগতেছে তাদের। আমার মতে যে দলের বিপক্ষেই খেলুক সবার ক্ষেত্রে সেম থাকাটাই বেটার, কাউকে ছোট করে দেখতে নেই।’
বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরে পরিবারের সাথে কাটানো হয়নি খুব বেশি সময়। লম্বা সময় দেশের বাইরে কাটানোর ধকল কাটাতে পাননি বেশি সময়ও। বিসিবি একাদশের হয়ে খেলতে নেমে জানালেন পেশাদার ক্রিকেটার বলে এসব ত্যাগ স্বীকারে সমস্যা নেই চট্টগ্রামের এই তরুণের, ‘দেখেন আমাদের কাজই কিন্তু এটা। হ্যা রেস্ট দরকার খেলারও দরকার। আমরা বেশি সময় পাইনি, চার- পাঁচদিন হবে। আমাদের জবই এটা, এটাই আমাদের সবকিছু। এখানে ভালো খেললে আগামীতে যাওয়াটা সহজ আরকি।’
বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলা শাহাদাতের বিশ্বকাপে ভালো খেলার পুরষ্কার হিসেবে জুটলো জিম্বাবুয়ের মত আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার সুযোগ। প্রথমবারের মত কোন আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে খেলা এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলছেন পার্থক্য দেখছেন না খুব একটা, ‘দেখেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি, অভিজ্ঞতা সবময়ই হচ্ছে। এখানেও বড় দলের বিপক্ষে খেললাম, একই লাগছে। আসলে আমি যদি সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকি তাহলে সবকিছু সহজ লাগবে।’