

সিরিজের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার ২২২ রান ৫ বল হাতে রেখেই জিতে। রানবন্যার ম্যাচে ইংলিশ অধিনায়কের ব্যাটের কাছে এদিন ম্লান ক্লাসেন, মিলারদের ইনিংস।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার দেখে ইংল্যান্ড। এরপর টানা দুই জয়। সিরিজও জয়। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতলো ইংলিশরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফ্রিকান অধিনায়ক ডি কক। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৪ রান। ডি কক ৩৫ করে আউট হলে টেম্বা বাভুমাও ফিরে যান দ্রুত (৪৯ রান)। বেন স্টোকস ৪ ওভারের মধ্যেই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান। ডুসেনকে ১১ রানে রেখে আউট করেন স্টোকস।
সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে প্যাভিলিয়নে যান হেনরিক ক্লাসেন। ৩৩ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারে তাঁর এই ইনিংস। ডেভিড মিলার ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩ চার ও ২ ছক্কার এই ইনিংসে বল খেলেন ২০। আর তাতেই ২২২ রানের বড় সংগ্রহের দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২২২ রান টপকানোর লক্ষ্যে খেলতে নেমে জেসন রয় শুরুতেই বিদায়। এরপর জস বাটলার আর জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে আসে ৯১ রানের জুটি। ফিফটি করে আউট হন জস বাটলার। ২৯ বলে ৫৭ রান- ৯ চার, ২ ছয়। জনি বেয়ারস্টো ৩৪ বলে ৬৪ করে আউট হলে স্কোরবোর্ডে রান তখন ১৪০।
ডেভিড মালান শামসির বলে পেছনে ক্যাচ তুলার আগে খেলেন ১১ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস। তবে ইংল্যান্ডের জয়ের পথে এনেছেন অধিনায়ক এউইন মরগ্যান। ১২ বলে ২২ করে বেন স্টোকস আউট হলে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা। কিন্তু এদিন মরগ্যানের ব্যাটে চারের দেখা মেলেনি। ৭ ছয়ের বন্যায় ৫৭ রান, মাত্র ২২ বলে।
আর তাতেই ৫ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয়।
পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ করা এউইন মরগান ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা ২২২/৬ (২০), বাভুমা ৪৯, ডি কক ৩৫, ডুসেন ১১, ক্লাসেন ৬৬, মিলার ৩৫*, প্রিটোরিয়াস ১১, ফেলুকওয়ায়ো ১, ফরটুইন ০*; টম কারেন ৪-০-৩৩-২, উড ৩-০-৪৭-১, রশিদ ৪-০-৪২-১, স্টোকস ৪-০-৩৫-২।
ইংল্যান্ড ২২৬/৫ (১৯.১), রয় ৭, বাটলার ৫৭, বেয়ারস্টো ৬৪, মালান ১১, মরগান ৫৭*, স্টোকস ২২, মইন ৫*; লুঙ্গি ৪-০-৫৫-২, ফেলুকওয়ায়ো ৩.১-০-৩৪-১, শামসি ৩-০-৪০-১, প্রিটোরিয়াস ৪-০-৪০-১।
ফলাফলঃ ম্যাচে ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী ও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজসেরাঃ এউইন মরগান (ইংল্যান্ড)।