

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ের টেস্ট দল। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে প্রথমবারের মত সেরে নিয়েছে অনুশীলনও। অনুশীলন শুরুর আগেই জিম্বাবুয়ে দলপতি জানালেন বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণাই তাদের বড় শক্তি। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসানের না থাকাটাও স্বস্তির মানছেন ক্রেইগ আরভিন।
সাকিবের না খেলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরভিন জানান, ‘আমাদের জন্য এটা ভালো হয়েছে যে সাকিব খেলছে না। সে অবশ্যই গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের একজন অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের জন্য এটি ইতিবাচক, কিন্তু এরপরেও আমাদের শক্তিমত্তার প্রতি জোর দিতে হবে।’
বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু তকমা গায়ে লেগে গেছে জিম্বাবুয়ে দলের। লাগবেইবা না কেন? অন্য কোন দেশ বাংলাদেশে নিয়মিত আসুক না আসুক জিম্বাবুয়ে প্রায় প্রতি বছরই হাজির! নিয়মিত খেলতে আসার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০১৮ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েও দেয় জিম্বাবুয়ে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টেও চেনা জানা কন্ডিশনকেই নিজের শক্তির জায়গা বলছেন জিম্বাবুয়ের টেস্ট অধিনায়ক।
একদিকে পরিচিত কন্ডিশন, অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাসী করছে জিম্বাবুয়ে দলকে। জয়ের বিকল্প ভাবছেনা উল্লেখ করে আরভিন বলেন, ‘দেখেন আমরা অবশ্যই এখানে জিততে এসেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমদের একটা ভালো সিরিজ গিয়েছে। ওই সিরিজের আগে লম্বা সময়ের বিরতি কাটানো আমাদের একটা মোমেন্টামে রাখবে। প্রতিনিয়ত এখানে আসি বলে বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে।’
‘অন্য অনেক দল এখানে এসেছে কন্ডিশন নিয়ে বেশ সংগ্রাম করেছে। যেটা বললাম এখানে অন্য দেশগুলোর তুলনায় আমরাই সবচেয়ে বেশি এসেছি। এখানকার কন্ডিশন আমাদের কাছে খুব পরিচিত, এখানে স্পিন বেশ বড় ভূমিকা রাখে।’
দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস, টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জার্ভিসকে ছাড়াই মিরপুর টেস্টে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে। অভিজ্ঞদের মিস করলেও তরুণদের দিকে তাকিয়ে জিম্বাবুয়ে দলপতি, ‘আমি মনে করি ফলাফল কি হবে সেটা না ভেবে আমাদের কি করা উচিত সেটা নিয়ে ভাবা দরকার। আমাদের দলে কিছু নতুন ক্রিকেটার এসেছে। তাদেরকে যতটা সম্ভব সহজ করতে হবে আমাদের। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন অনুশীলন সঠিকভাবে হয় এবং টেস্টের প্রথম দিনই আমরা ব্যাকফুটে না যাই।’