

কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাশাপাশি দুই গ্রাউন্ডে খেলা হচ্ছে চলতি বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের দুটি ম্যাচই। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন বনাম বিসিবি সাউথ জোন ম্যাচে যতটা নাটকীয় মোড় দেখা দিয়েছে ঠিক ততটাই সহজ সাবলীল গতিতে এগোচ্ছে বিসিবি নর্থ জোন বনাম ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের মধ্যকার ম্যাচ।
বিসিবি নর্থ জোনের ২৭২ রানের জবাবে ইয়াসির আলি রাব্বির ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬১ রান তুলে দিন শেষ করে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন স্পিনার নাইম হাসানের মত দাপট দেখাচ্ছে বিসিবি নর্থ জোনের স্পিনাররাও। ৭ উইকেটের ৫ টি শিকার সানজামুল ইসলামের, দুটি সঞ্জিত সাহার।
২ উকেটে ৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন, শূন্য রানে অপরাজিত থাকা সাকলাইন সজীব ও নতুন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলির জুটি টিকেনি বেশিক্ষণ। সানজামুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাকলাইন ফিরেছেন ৪ রান করে। ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানো ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনকে টেনে নেন ইমরুল কায়েস ও ইয়াসির আলি রাব্বি। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটীতে যোগ করেন ১৩৭ রান।
View this post on Instagram
বিসিএলে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের পক্ষে, বিসিবি নর্থ জোনের বিপক্ষে। #Bangladesh #Cricket #BCL
১৫৩ বলে ৭ চারে ৭৬ রান করে সানজামুলের বলে উইকেট রক্ষক মাহিদুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে পথ ধরেন ইমরুল। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি মিস করলেও প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির আলি। চা বিরতির পর ২২২ বলে ১০ চারের সাথে ২ ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ডানহানি এই ব্যাটসম্যান।
ইমরুলের বিদায়ের পর নাসির হোসেন ফেরেন আরেক দফায় ব্যর্থ হয়ে। সানজামুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন মাত্র ৩ রান। শেষদিকে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৬৬ রান যোগ করেন ইয়াসির। ২৬ করে তিনিও ফেরেন সানজামুলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন তুলতে পারে ৭ উইকেটে ২৬১ রানে। আগের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৩২ কে পেছনে ফেলে ১৩৪ রানে অপরাজিত আছেন ইয়াসির আলি, অন্যদিকে ৬ রানে অপরাজিত নাইম হাসান। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন পিছিয়ে আছে ১১ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দ্বিতীয় দিন শেষে
বিসিবি নর্থ জোন প্রথম ইনিংস ২৭২/১০
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন প্রথম ইনিংস ২৬১/৭ (৯৬ ওভার), পিনাক ৩, আশরাফুল ০, সাকলাইন ৪, ইয়াসির ১৩৪*, ইমরুল ৭৬, নাসির ৩, আফিফ ২৬, জাকির ১, নাইম ৬*; সানজামুল ৪২-৪-৯২-৫, সাইফউদ্দিন ৯-২-১৮-০, সঞ্জিত ৩০-৮-৭১-২, নাইম ৪-১-৮-০, তানবীর ৫-০-৩১-০, আরিফুল ৬-০-৩৩-০।