

পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল ম্যাচটি নানা ভাবেই ছড়িয়েছে উত্তাপ। প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলতে নেমে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের শুরু থেকেই ভড়কে দেয় টিম বাংলাদেশ। বল হাতে সাকিব-শরিফুলরা আগুন ঝরানো বল ছোঁড়ার পর শরীরি ভাষাতেও ছিল আগ্রাসন যা পুরো ম্যাচে টেনে নেয় দুই দল। বিশেষ করে খাদের কিনারায় থাকা বাংলাদেশকে ব্যাট হাতে টেনে নেওয়া আকবর আলিকে ক্রিজে সহ্য করতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাত্রাতিরিক্ত স্লেজিং।
ভারতীয়দের স্লেজিংয়ের জবাবে টাইগার দলপতি দিয়েছেন হাসি। এমন চাপা উত্তেজনার ম্যাচে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে আকবর সামলে নিয়েছেন পরিস্থিতি? ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতা আকবর জানালেন ‘স্মাইলিং ইজ দ্যা বেস্ট রিভেঞ্জ’ থিওরি মেনেই উপশম করেছেন ভারতীয়দের স্লেজ যন্ত্রণা।
গতকাল দেশে ফিরে বিশ্বকাপ জয়ী যুব দল পেয়েছে বিসিবির আড়ম্বরপূর্ণ সংবর্ধনা। বিসিবিতেই রাত কাটিয়ে আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালেই নিজ নিজ এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ক্রিকেটাররা। বিসিবি ছাড়ার আগে টাইগার দলপতি জানান কীভাবে প্রতিপক্ষের স্লেজ তোপ সামলে নিয়েছেন ফাইনালের মত স্নায়ুর যুদ্ধে।
আকবর বলেন, ‘আমি একটা জায়গায় পড়েছিলাম যে স্মাইলিং ইজ দ্যা বেস্ট রিভেঞ্জ। ওরা যতটা স্লেজ করছিলো, চিন্তা করছিলাম যতটা হাসি হয়তো তাঁদের ওপর অন্যরকম প্রভাব ফেলতে পারে। ওইটাই চেষ্টা ছিল।’
মাঠের লড়াইকে কোন ছাড় নয় এমনকি ম্যাচ শেষেও দুই দলের আচরণে ছিল কিছুটা আগ্রাসন যা রুপ নেয় হাতাহাতি পর্যায়েও। বোর সড় সাজা পেয়েছে দুই দলের ৫ জন ক্রিকেটারও। পরে অবশ্য টিম হোটেলে বেশ ভালো কিছু সময়ও কেটেছে বলে জানান টাইগার কাপ্তান, ‘আমরা মাঠের মধ্যে জেতার জন্য খেলেছি। ওরাও খেলেছে। আমি নিজেও এটা পছন্দ করি। জেতার পর আমরা হোটেলে ফিরি, একসঙ্গে দুই দিন ছিলাম আমরা। ওদের সঙ্গে অনেক গল্পগুজব করেছি। ইন্ডিয়ান প্লেয়ার-কোচ সবাই আমাদের এপ্রিশিয়েট করেছে।’