

নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। গত দুই বছরের পারফরম্যান্সে দলের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য ফুটে উঠেছে স্পষ্ট, চলতি বিশ্বকাপে ফেভারিট হয়েই দেশ ছাড়ে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দলটি। শিরোপা জয় থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে থাকা টাইগার যুবাদের উচ্ছ্বসিত জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। বর্তমান দলটির অন্তত ৮-৯ জন জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করবে এমনটাই চাওয়া তার।
যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালই এই নিয়ে দ্বিতীয়বার খেলল বাংলাদেশ। ১২ আসরে অংশ নিয়ে আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) কিউইদের হারানো জয়ে নিশ্চিত হল ফাইনাল। এখনো পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সফলতা, ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারলে পাবে পূর্ণতা।
টাইগার যুবাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ আমাদের বয়সভিত্তিক দল কিন্তু জাতীয় দলের জন্যই তৈরি করা আর এই প্রেক্ষিতেই খেলোয়াড়দের বাছাই করা। এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দল ভালো খেলছে। আমরা চাই এখান থেকে ৮-৯ জন খেলোয়াড় যেন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’
২০০৯ সালে মিনহাজুল আবেদিন কোচ ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের। তার অধীনে কোচিং করা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আগে পরে খেলেছেন জাতীয় দলে। এবারের দলেও আছে তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয়, আকবর আলি, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর মত প্রতিভাবানরা। যাদের প্রত্যেকেরই আছে জাতীয় দলের হয়ে দেহকে প্রতিনিধিত্ব করার মত সামর্থ্য।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানান এদের মধ্য থেকে জাতীয় দলের বিকল্প প্রস্তুত করতে পারলে ভবিষ্যত বাংলাদেশে ক্রিকেটেরই মঙ্গল, ‘আমি যখন ২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলাম ওই বিশ্বকাপ থেকে ১৮ জনই কিন্তু জাতীয় দলে খেলে। এরকম একটা ব্যাচ যদি আমরা পাই তাহলে কিন্তু জাতীয় দলের জন্য ভালো। একটা পুলের মধ্যে খেলোয়াড়দের পাওয়া যায়।’
‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যায়। একেকটা স্থানের জন্য যদি ২-৩ জন খেলোয়াড় রাখা যায় তাহলে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষা করার অনেক সুযোগ পাওয়া যায়। যখন যাকে দরকার হয় তাকে ব্যবহার করা যায়। আমি মনে করি অনূর্ধ্ব-১৯ এর ব্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে এখানে ভালো ফলাফল থেকেও ভালো খেলোয়াড় পাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
বয়সভিত্তিকের এসব ক্রিকেটারকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতেই বেশ কয়েক বছর আগে চালু করা হয়েছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটারদেরও পরিচর্যা করা হবে এইচপিতে জানালেন নান্নু, ‘এ প্লেয়ারদেরতো আমরা এইচপিতে নিয়ে আসতেছি। যেটা আমাদের আগে প্রথম দিকে ছিল একাডেমি। এখনতো একাডেমির কার্যক্রমটা নেই আছে হাই পারফরম্যান্স বা এইচপি। এখানেই আমরা তাদের নার্সিং করবো।’
‘লাস্ট এইচপি ক্যাম্পে আমরা ভালো অবস্থানে পেয়েছি কয়েকটা ক্রিকেটারকে। যার কারণে এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো ব্যাপার হয়ে এসেছে। সুতরাং এখান থেকে যদি আমি আমরা আমাদের জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি আমাদের জন্য বিশেষ ভালো পাওয়া হবে।’