

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করা কিউই যুবাদের অল্পতেই বেঁধে রেখেছে টাইগার যুবারা।
পচেফস্ট্রুমে টসে জিতে আগে কিউই যুবাদের ব্যাট করতে পাঠান যুবা টাইগারদের দলপতি আকবর আলি।
ইনিংসের ২য় ও নিজের করা প্রথম ওভারেই অহিনায়কের মুখে হাসি ফোটান শামীম হোসেন। ওপেনার রাই মারিউকে (১) তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শামীম। ওলি হোয়াইট ও ফারগাস লেলম্যান মিলে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা চালান। ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন এই দুইজন।
১২ তম ওভারের ৪র্থ বলে হোয়াইটকে আকবর আলির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাকিবুল হাসান। কিউই যুবাদের রান তখন ৩১। ৫০ এর কম স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করা ফারগাস লেলম্যানকে (৫০ বলে ২৪) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে ফেরান শামীম হোসেন, দারুণ এক ক্যাচ নেন মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক জেসি ট্যাশকফ বেশীক্ষণ টেকেননি। ১৭ বলে ১০ রান করে হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হন তিনি।
৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানো কিউই যুবাদের হয়ে ত্রাতা হিসাবে আবির্ভূত হন নিকোলাস লিডস্টোন ও বেকহ্যাম হুইলার-গ্রিনল। ৫ম উইকেট জুটিতে এই দুজন যোগ করেন ৬৭ রান। ৭৪ বলে ৪৪ রান করা লিডস্টোনকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
লিডস্টোন সাজঘরে ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন কুইন সানডে। সানডেকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পান হাসান মুরাদ। ৪২ তম ওভারে উইকেট পাওয়া মুরাদ ঐ ওভারে কোন রানই দেননি। ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক এদিন ব্যাট হাতে বেশি কিছু করতে পারেননি। ৯ বলে ৭ রান করা ক্লার্ককে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এটাতেই সন্তুষ্ট থাকেননি শরিফুল। নিজের করা ৯ম ওভারের ৩য় বলে ফেরান জয় ফিল্ডকে। প্রথম দুই বলে অবশ্য ১০ রান হজম করেছিলেন তিনি।
৬ নম্বরে নামা হুইলার-গ্রিনল শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকেন। ৮৩ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২১১ রান। শরিফুল ইসলামের শেষ ওভার থেকে আসে ১৯ রান!