

১৯৯৮ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল খেলে প্রথমবার সেমিফাইনাল, টুর্নামেন্ট শেষ করে তৃতীয় অবস্থানে থেকে। যা বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সফলতা। চলতি যুব বিশ্বকাপে আকবর আলির বাংলাদেশ যুব দলের সামনে সুযোগ তাদেরকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার। আগামীকাল নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশ উঠে যাবে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্টিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কিউই যুবারা। তাদের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা গতবছর নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়। দাপট দেখিয়েই নিউজিল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে সিরিজটি জিতেছিল আকবর আলির দল।
প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আগামী ৯ তারিখ ফাইনালে তাদের সঙ্গী হতে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ তাকিয়ে তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবদের দিকে। ম্যাচের আগের দিন দলপতি আকবর আলি বলছেন সেমিফাইনাল বলে বাড়তি চাপ নয়, অন্য ৮-১০ টা ম্যাচের মতই থাকতে চান স্বাভাবিক।
নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে আকবর বলেন,
‘দেখুন আমরা যদি আমাদের প্রস্তুতির কথা বলি আমি বলবো যে আমরা মানসিক ও স্কিল দুটো সাইড থেকেই ভালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমদের। এখন শুধু মাঠে প্রয়োগ করার পালা সেটা করতে পারলেই আমার মনে হয় রেজাল্ট ইনশাল্লাহ আমাদের দিকে আসবে।’
নিউজিল্যান্ডের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েই কিছুটা চিন্তা টাইগার দলপতির। মূলত জো ফিল্ড, ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, হুইলার গ্রিনলের মত লোয়ার মিডলের ব্যাটসম্যানরাও যেকোন সময় দাঁড়িয়ে যেতে পারে। যার প্রমাণ মিলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে।
প্ল্যান অনুযায়ী বল করতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব মনে করেন আকবর,
‘নিউজিল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলেই এত দূর আসছে। আশা করি আমরা আমাদের যে প্ল্যান আছে সে অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে। তাদেরকে যতটা কম রানের মধ্যে আঁটকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাদের ব্যাটিং অর্ডারে লোয়ারে ভালো ব্যাটসম্যান আছে, তাদের লাইন আপ বেশ লম্বা, আশা করি আমদের বোলাররা ভালো করতে পারবে।’
‘আমাদের দলের সবার কথা যদি বলি আমার মনে হয় সবাই রিল্যাক্স আছে । এটাকে সেমিফাইনাল গেম বা ফাইনালে উঠতে হবে এরকম বাড়তি কোন প্রেসার না নিয়ে এটাকে ৮-১০ টা নরমাল গেমের মত নিলে আমার মনে হয় রেজাল্ট ভালো হবে।’- সেমিফাইনাল বলে বাড়তি চাপ নেওয়ার পক্ষে নন উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের বাড়তি উন্মাদনা বরাবরই ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরিত করে। প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার সামনে সুযোগ আকবর তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, তৌহিদ হৃদয়দের সামনে। এমন ম্যাচের আগে কাপ্তান আকবর আলি দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা করে সমর্থন,
‘দেশবাসীর কথা যদি বলি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আপনারা যেমন সমর্থন করেছেন সেই সমর্থনটাই প্রত্যাশা করবো।’