

পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশি হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৪ টি করে টেস্ট খেলেছেন জাবেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট ও হাবিবুল বাশার। পাকিস্তানের মাটিতে সাদা পোশাকে ব্যাট হাতে আছে দারুণ সময় কাটিয়েছেন বাশার। এবার পাকিস্তানে যাচ্ছেন বাশার, তবে খেলোয়াড় হিসাবে নয়। নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করতে থাকা হাবিবুল বাশার দেশ ছাড়ার আগে আসন্ন সিরিজকে চ্যালেঞ্জিং বললেও এটাকেই ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ বানাতে চান।
পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে ব্যাট করা হাবিবুল বাশারের রান ৪৪৮। ৪ ফিফটি, ১ সেঞ্চুরিতে রান করা বাশারের গড়টা ৬৪। মুলতানে আক্ষেপ হয়ে থাকা টেস্টের ১ম ইনিংসে করেছিলেন ৭২ রান। নিজে যখন খেলেছেন তখনকার চেয়ে এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। তবে পাকিস্তানে খেলাটা চ্যালেঞ্জিংই আছে আগের মতো।
বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘পাকিস্তানে খেলা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং অবশ্যই। আমরা যখন গিয়েছিলাম সেটা তো অনেক আগে। তখনকার পাকিস্তান এমন ছিল না, আমাদের দলটিও এখনকার মতো ছিল না। এখন অনেক শক্তিশালী আমাদের দল। পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হিসাবে এই সিরিজকে দেখছেন ‘আমরা সম্প্রতি কয়েকটি টেস্টে ভালো করিনি, তবে এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ভালো কিছু করার। কারণ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপটা আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি। যদি ঘুরে দাঁড়াতে হয় তাহলে এটা অনেক ভালো এবং বড় একটি সুযোগ আমাদের জন্য।’
রাওয়ালপিন্ডিতে পেস ও বাউন্সটা থাকবে বেশি। সেখানে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কেমন করবেন তার চেয়ে টাইগাররা কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সেটার ওপরেই নির্ভর করছে চ্যালেঞ্জ উতরে যাবার ব্যাপার।
‘আসলে থ্রেটটা আমরা নিজেরাই। পাকিস্তানের কন্ডিশন দেখুন, রাওয়ালপিণ্ডিতে একটু পেস এবং বাউন্স বেশি থাকবেই। আমরা সেটা কতটা মানিয়ে নিতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। চ্যালেঞ্জটা আমাদের নিজেদের কাছে, নিজেদের জন্য। এই কারণে বলছি খুব চ্যালেঞ্জিং। এমন না যে পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা আগে খেলিনি। এমন বোলিং যে আমরা খেলিনি তেমনও না। এটা পুরোপুরি নির্ভর করে আমাদের উপরে যে এই চ্যালেঞ্জটি আমরা কীভাবে মোকাবেলা করছি। আমার কাছে মনে হয় আমরা কি করছি সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’