

গতির ঝড়ে বেশ নজর কেড়েছেন এবাদত হোসেন, তার সাথে যোগ হয়েছে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও দলের করুণ অবস্থার মধ্যেও উজ্জ্বল ছিল তার পারফরম্যান্স। উইকেট সংখ্যা হয়তো কথা বলবেনা তার হয়ে তবে রোহিত, কোহলিদের যা একটু ভুগানো গিয়েছে তা এবাদত-রাহির কল্যাণেই। সবশেষ বিপিএলেও দেখিয়েছেন গতি, সুইং আর বাউন্সারে কতটা সাবলীল হয়ে উঠছেন। ব্যাটসম্যানকে পড়তে পেরে ইয়র্কার দেওয়ার মন্ত্রটাও দারুণ আয়ত্বে আনছেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে আজ দেশ ছেড়েছে মুমিনুল হক এন্ড কোং। দুপুরে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার আগে ডানহাতি পেসার এবাদত জানিয়েছেন নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টের আক্ষেপ ঘোচানো সম্ভব।
টেস্টের দুই দিন আগে দেশ ছেড়ে একদিনের অনুশীলনে নামতে হবে মাঠে। নেই কোন ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই বর্তমান দলের কারও। ফলে রাওয়ালপিন্ডির উইকেট সম্পর্কে আগে থেকে জানতে না পারাটা অসুবিধার কিনা জানতে চাইলে এবাদত বলেন, ‘অসুবিধা না, আমি যতুটুক শুনেছি পাকিস্তানের উইকেট মোটামুটি ব্যাটিং বান্ধব হয়। তো ওভাবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি যদি ব্যাটিং বান্ধব হয় কীরকম অ্যাটাক করতে হবে। আমরা বিসিএলের একটা ম্যাচ খেলেছি ওখানে চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেয়ার এবং প্রস্তুতি নেয়ার ঠিকঠাক করে।’
২০০৩ সালে মুলতান টেস্টেই বাংলাদেশ পেতে পারতো নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম জয়। ২৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে পাকিস্তানের ৮ উইকেট তুলে নেয় ২০৫ রানেই। কিন্তু ইনজামাম উল হকের অপরাজিত ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে চড়ে ১ উইকেটে কষ্টার্জিত জয় পায় পাকিস্তান। হতাশা সঙ্গী হয় হাবিবুল বাশার, খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ রফিকদের।
পাকিস্তানের মাটিতে আবারও টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে মুলতান টেস্ট কতটা অনুপ্রেরণার হতে পারে জানাতে গিয়ে এবাদত বলেন, ‘তখনকার টিম কিন্তু…অনেক ভালো টিম ছিল আমাদের। তারা সবাই এখন প্রায় ক্রিকেট বোর্ডে আছে। এখন যে আমাদের টিম আছে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি, তামিম ভাই, মুমিনুল ভাই খুব ভালো একটা শেপে আছে। অন্যরাও ভালো টাচে আছে। তো আমার মনে হচ্ছে আমরা যদি ভালো খেলতে পারি ইন শা আল্লাহ আমরা তাদের হারাতে পারবো।’
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে সিলেট থান্ডারের হয়ে ১২ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৪ টি। তবে উইকেটের চাইতে তার বোলিং মুগ্ধ করেছে বেশ ভালোভাবে। গতি, মুভমেন্ট, ইয়র্কারে নাকাল করেছেন ব্যাটসম্যানদের। রানের খেলা টি-টোয়েন্টিতে এমন বোলিং করা ২৬ বছর বয়সী এই পেসার আশাবাদী টেস্টেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বলের মধ্যে আমাকে সব কিছু করতে হবে। টেস্টে দেখেন অনেকক্ষণ বল করার সুযোগ থাকে। টেস্টে ধারাবাহিকতাটা হচ্ছে আসল ব্যাপার। ওটা নিয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে কাজ করেছি। তো দেখা যাক কী হয়।’
টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান বারবর আজম টেস্ট, ওয়ানডেতেও আছেন সেরা দশে। টেস্ট র্যাংকিংয়ের ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান বাবরের জন্য আলাদা নয়, ভালো বল করাতেই মনোযোগ এবাদতের, ‘ভালো বল সবার জন্যই ভালো বল। বাবর আজম টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান। জানি না টেস্টে কী হয়। আমরা টেষ্টা করবো ওকে ভালোভাবে বল করার।’