

পাকিস্তান সফরের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মুশফিকুর রহিম হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ায় খেলতে পারেননি বিসিএলের প্রথম রাউন্ড। এদিকে চলতি মাসের শেষেদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সামনে রেখে তার দলে থাকা না থাকা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক টেস্ট। ফলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে মুশফিককে রাখতে হলে দল নির্বাচনে আসবে অধারাবাহিকতা, কোচ-নির্বাচক এ নিয়ে দিয়েছেন একই মতামত।
অন্যদিকে চোটে পড়া মুশফিককে ফিট হয়ে ফিরতে হবে এমন মন্তব্য করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। মুশফিক গতকালই জানিয়েছিলেন ফিটনেস টেস্ট দিবেন আজ-কালের মধ্যে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার জন্যই, বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেও থাকবেন মাঠেই।
আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির ফিজিও, ট্রেনারের তত্বাবধানে দেওয়া ফিটনেস টেস্টে উতরে গেছেন মুশফিক নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। ফলে ফিটনেস ইস্যুতে মুশফিকের জিম্বাবুয়ে সিরিজে না খেলার শঙ্কা মিলিয়ে গেলো হাওয়ায়। এখন মুশফিকের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকা না থাকা একান্তই নির্বাচক-কোচের চাওয়ার উপর নির্ভর করবে।
ফিটনেস টেস্টে মুশফিকের সাথে উতরে গেছেন ইমরুল কায়েসও। চোটে পড়া দুজনেরই চোটের সবশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘মুশফিক এবং ইমরুল ওদের হ্যামস্ট্রিং ও কাপ মাসলের সমস্যা নিয়ে কিছুদিন ইনজুরিতে ছিল। এর মধ্যে ওদের রিহ্যাব প্রক্রিয়াও চলছিল। তবে মুশফিকের ইনজুরি গ্রেড ওয়ান হওয়াতে আমরা আশা করছিলাম ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ও সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু ইমরুলের ইনজুরিতে আমাদের ধারনা ছিলো আরেকটু বেশি সময় লাগতে পারে, সপ্তাহ খানেক।’
‘তো আজকে ওদের দুজনেরই টেস্ট হলো আমাদের ফিজিও থেরাপিস্ট এবং ট্রেনারদের তত্ত্বাবধায়নে। খুবই সন্তোষজনক ভাবে ওরা টেস্টে উতরে গেছে। এবং দুনজেই আপাতত খেলার জন্য ফিট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তো এর পরবর্তী খেলাগুলোয় ওদের অংশগ্রহণে আর কোনো বাঁধা থাকবে না।’