

২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর নিজেদের বেশ গুছিয়ে নেয় এউইন মরগানের ইংল্যান্ড। নিজেদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সুফলটা পায় চার বছর পর ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে। প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে ইংলিশরা। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইংলিশ কাপ্তান বলছেন তাদের চোখ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুটিতেও।
আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ইংলিশ কাপ্তান কথা বলেছেন দলে সুযোগ পাওয়া নতুন মুখদের নিয়ে। কেপ টাউনে প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে মরগান জানান মূলত পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে চূড়ান্ত একটি দল গঠনের লক্ষ্যেই দলে রদবদল করা হচ্ছে।

চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্টিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আগামী বছর ভারতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসর। এরপর ২০২৩ সালে ভারতেই অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপও। নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে জানাতে গিয়ে মরগান বলেন, ‘পরবর্তী বিশ্বকাপের (ওয়ানডে) আগে আমাদের সামনে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমরা এ দুটিতেও নজর রাখছি।’
এদিকে দলে পরিবর্তন ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইংলিশ কাপ্তান জানান যে প্রক্রিয়ায় ২০১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড সে পথেই আবারও হাঁটছেন তারা। ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি আমাদের দলের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ। যাতে আগামী তিন-চার বছর পর দল গঠনের জন্য আমাদের হাতে ভালো বিকল্প সম্বলিত একটি গ্রুপ থাকে যেটা আমরা গত বিশ্বকাপের আগে করেছিলাম।’
বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তবে মরগান বলছেন শুনতে ভালো লাগলেও নিজেদের গায়ে চ্যাম্পিয়ন তকমা সেঁটে দিতে চাননা, ‘আমরা নিজেদের এভাবে (চ্যাম্পিয়ন) ডাকি না। সবাই আমাদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই জানে যা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা সেটা আমরা অর্জন করতে পেরেছি এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। এটা আমাদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে যেন পরের ধাপ তৈরি করতে পারি।’