

ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানের ১ বছরের নিষেধাজ্ঞায় টালমাটাল হয়ে পড়ে দল। পরিবর্তন আসে টেস্ট দলের অধিনায়কে। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে যে ভার পড়ে মুমিনুল হকের কাঁধে। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে নিজের প্রথম মিশনে মুমিনুল হকের সঙ্গী হয়েছে কেবল হতাশা।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে মুমিনুল হকের দল। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ইনদোর টেস্টের দুই ইনিংসে ৩৭ ও ৭ রান করা মুমিনুল কোলকাতায় গোলাপি বলের টেস্টে দুই ইনিংসেই ফেরেন শুন্য হাতে। টস জিতে নেওয়া মুমিনুলের সিদ্ধান্ত নিয়েও সয়ালোচনা হয়েছে।
পাকিস্তান সফরের আগে আজ গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ভারতের দুঃস্বপ্নের সিরিজ থেকে কি শিক্ষা পেয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
উত্তরে মুমিনুল বলেন, ‘অনেক কিছু আছে (শিক্ষা নেওয়ার)। আপনারা বলতে পারেন টসটা আছে। ক্যাপ্টেন্সি করতে গেলে পারফরম্যান্স অবশ্যই। নিজে পারফর্ম করতে চেষ্টা করবো অবশ্যই। এটা কীভাবে আরও ইম্প্রুভ করা যায় সাথে মাঠের অফ দ্যা ফিল্ড অন দ্যা ফিল্ড অনেক কিছু আছে সেগুলো ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করবো। আর হয়তো ওই সময় এমন ছিল আমার প্রথম সিরিজ আমিও একটু ব্যাকফুটে ছিলাম। তো এবার হয়তো ভালো করা চেষ্টা করবো।’
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করছেন মুমিনুল।
‘আমার কাছে মনে হয় ভারত সিরিজ, আফগানিস্তান সিরিজ থেকে যেগুলো শিক্ষা হয়েছিল বললাম আমরা সেগুলো যদি আমরা রিকভার করতে পারি, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।’
অ্যাওয়ে টেস্ট জেতার ইচ্ছা নিয়েই পাকিস্তানে যাবে মুমিনুল হকের দল। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভাবছেন না তারা।
‘আপনারা দেখেন আমরা ওভার অল অ্যাওয়ে তে খুব একটা ভালো খেলিনা আমরা। আমি চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলতে এবার, সবাই সেই চেষ্টাই করবে।’
‘আমার কাছে মনে হয়না কোন টাফ হবে (নিরাপত্তা ইস্যু)। আপনারা হয়তো একটা…জানিনা আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি যদি একবার মাঠে ঢুকে যান তাহলে হয়তো অন্য কিছু লাগবেনা এরকম কিছু।’