

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘোষিত বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকারের অন্তর্ভূক্ত করা নিয়ে কম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি নির্বাচকদের। আগামীকাল দেশ ছাড়ার আগে আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মিঠুন, সৌম্যকে নিয়ে প্রশ্ন ছোঁড়া হয় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকেও। পরিসংখ্যান মিঠুন, সৌম্যের পক্ষে কথা না বললেও প্রধান কোচ মানতে নারাজ ফর্মে নেই তারা দুজন।
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাসেল ডোমিঙ্গোর এটি তৃতীয় অ্যাসাইনমেন্ট। তার অধীনে দুই টেস্টে খেলছেন মোহাম্মদ মিঠুন, ভারতে বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ব্যর্থতা উপহার দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যদিও এরপর বিপিএলে ছিলেন ছন্দে, পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি এক ম্যাচ ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।
চলতি বিসিএলে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ৮৩ রানের ইনিংস। এখনো পর্যন্ত ৭ টেস্ট খেলা মিঠুন ১৭.৫৪ গড়ে রান করেছেন মাত্র ২৮৮, ফিফটি মাত্র একটি। অন্যদিকে সৌম্য সরকারের টেস্ট পরিসংখ্যানও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় নাজুকই। সবশেষ ১৮ ইনিংসে সমান একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি। চলতি বিসিএলেও দুই ইনিংস মিলে রান করেছেন ৪০!
দুজনের দলে অন্তর্ভূক্তি সম্পর্কে রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আপনি যখন বললেন মিঠুন ফর্মে নেই দেখুন সে আজও ৬০ রানে ব্যাট করছে (পরে ৮৩ রানে আউট)। পাকিস্তান থেকে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলে এসেছে। আমি মনে করি তার দুর্দান্ত একটি বিপিএল গেছে। আমি বলতে চাইনা সে বাজে ফর্মে আছে, সৌম্যও ভালো করছে।’
দুই-এক টেস্ট দেখেই কাউকে ছুঁড়ে ফেলতে নারাজ ডোমিঙ্গো, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা থাকছে। মিঠুন আমাদের শেষ ভারত সফরের দলেও ছিল, বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে। কাউকে এক-দুই টেস্ট পরই ছেড়ে দেওয়াটা আমার কাছে কঠিন বলেই মনে হয়। আমি সবসময় বলে আসছি আমাদের দল নির্বাচনে যেন ধারাবাহিকতা থাকে এবং আমরা সুযোগ দিতে চাই নির্দিষ্ট কিছু টেস্ট, কারও ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে।’
‘ভারত সফরের দলের অনেকেই আমাদের এই স্কোয়াডে আছে। আমরা তাদের সুযোগ দিচ্ছি তারা যেন তাদের খেলায় উন্নতি করতে পারে।’