

কলপ্যাক চুক্তি মানেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার উপর একটা আঘাত আসা। ২০০৪ সালে এই চুক্তির শুরুটা হয়েছে এক দক্ষিণ আফ্রিকানকে দিয়ে। সবশেষ সংযোজন অলরাউন্ডার ফারহান বেহারদিন ও ডেভিড বেডিংহাম। দুজনেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাউন্টি দল ডারহামের সাথে।
২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক জার্সি গায়ে চাপান ৩৬ বছর বয়সী ফারহান বেহারদিন। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে খেলেছেন ৫৯ ওয়ানডে ও ৩৮ টি-টোয়েন্টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ১১৪ টি ম্যাচ রান করেছেন ৬৭৯৪। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ২১৫ টি রান ৫৫৮০। সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও এই অলরাউন্ডার বেশ অভিজ্ঞ, খেলেছেন ১৭৫ ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০১৮ সালে সবশেষ খেলা ফারহান ১৪ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া দল টাইটান্সের সাথে। ডারহামের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে আনন্দিত ফারহান বলেন, ‘ডারহামের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারা আমার ক্যারিয়ারেরই একটা উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা হিসেবে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক ভালোবাসার বিষয় ছিল। তবে এবার সময় নতুন অধ্যায়ে নাম লিখানো।’
ডারহাম ক্রিকেটের পরিচালক বেহারদিনকে দলে অন্তর্ভূক্ত করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘বেহারদিন একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং তরুণ খেলোয়াড় যারা আছে আমাদের দলে তাদের সে ভালোভাবেই অলরাউন্ড খেলাটায় সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করি।’
২৫ বছর বয়সী উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ডেভিড বেডিংহাম দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও খেলেছেন দেশটির যুব দলে। ক্যাপ কোবরাস দলের হয়ে খেলেছেন প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটও। ৩২ প্রথম শ্রেণি ও ২০ টি লিস্ট ‘এ’ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই ব্যাটসম্যানের।
এর আগে গত অক্টোবরে কলপ্যাক চুক্তিতে আবদ্ধ হন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাও। তারও আগে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বাদ দিয়ে যুক্ত হন পেসার ওলিভিয়ারও। নিয়মানুসারে কলপ্যাক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া ক্রিকেটাররা খেলতে পারবেন না নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে ইংলিশ কাউন্টির অফ সিজনে শর্তসাপেক্ষে খেলা যাবে নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট।
শন পোলক, চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট, নেইল ম্যাকেঞ্জি, রাইলি রুশো, কাইল অ্যাবট, ফাফ ডু প্লেসিস, মরনে মরকেলের মত প্রোটিয়া তারকারাও কলপ্যাকের অংশ হয়েছেন বিভিন্ন মেয়াদে। তারকা ক্রিকেটাররা ছাড়াও উঠতি অনেক ক্রিকেটারই দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের চাইতে কলপ্যাককেই আর্থিকভাবে শ্রেয় মনে করে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে।