

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ আসরকে লক্ষ্য রেখে আজ ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার’রা। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অলরাউন্ডার জাহানারা আলম জানালেন তাঁদের প্রত্যাশার কথা, লক্ষ্য দুটি ম্যাচ জেতা। অস্ট্রেলিয়ায় টাইগ্রেসরা উড়াবেন লাল-সবুজের পতাকা।
বিশ্বকাপে অংশ নিতে আজ রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা হতে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। দল পৌঁছাবে ব্রিসবেনে। ব্রিসবেন থেকে নারী দলের গন্তব্য গোল্ডকস্ট। গোল্ডকস্টে বিসিবির নিজস্ব খরচে মোট ১৩ দিন (১৪ তারিখ পর্যন্ত) অনুশীলন ক্যাম্প করবে তাঁরা। এরপর আইসিসির দায়িত্বে চলে যাবে বাংলাদেশ নারী দল।
মূল আসরের লড়াইয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাঘিনীরা। আজ বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমের সামনে জয়ের লক্ষ্যের ব্যাপারে জাহানারা আলম বলেন,
‘আমরা মনে করছি এটা আমাদের ফিউচার ডিসাইডিং ম্যাচ। এখানে যদি আমরা ভালো করতে পারি আমার মনে হয় আর ওমেন্স ক্রিকেটকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। একটা ম্যাচ যদি জিতে তাহলে র্যাকিংয়ে চলে আসবো। আমাদের লক্ষ্য দুটো ম্যাচ জেতা।’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। বাড়তি প্রস্তুতি নিতেই আগে ভাগে যাওয়া। গোল্ডকস্ট ডিসট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে নিজেদের আয়োজনে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দলটি। ৭, ১০ ও ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ম্যাচ তিনটি। প্রস্তুতি সম্পন্ন কতটুকু? অস্ট্রেলিয়ায় যেয়ে কি কি করতে চান? এসবের সব উত্তর জাহানারার কথায়,
‘আমরা ব্যাটিংয়ে একটু পিছিয়ে আছি। আপনারা জানেন আমরা ব্যাটিং কিছুটা পিছিয়ে আছি। স্পিন বলে আমাদের কিছুটা দূর্বলতা আছে। ওটার উপর কাজ করেছি আমরা। মেশিনে, থ্রো ডাউনে অনুশীলন করেছি। নেটে ছেলেদের বোলিং অনুশীলন করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমরা ওখানে ১৩দিন আগে যাচ্ছি, কন্ডিশন ক্যাম্পটা আমাদের হেল্প করবে।’
অস্ট্রেলিয়ায় বরাবরের মতোই বাউন্সি উইকেট থাকে। বিশ্বকাপে বাউন্সি উইকেট সহায়তা করবে পেসার জাহানারাকে। নিজের পরিকল্পনার ব্যাখ্যায়,
‘দেখুন অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন কন্ডিশন, আবহাওয়াতে পার্থক্য থাকবে। ওখানে পেস সহায়ক উইকেট হবে। যদি হয় আমার লক্ষ্য হচ্ছে ওপেনিং ব্রেকথ্রো এনে দেওয়া। আমার মনে হয় ভালো শুরু হলে দলের জন্য ভালো হবে।’
১৫ সদস্যের বাংলাদেশ নারী দল: সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলম, শামিমা সুলতানা, মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি, আয়শা রহমান, নিগার সুলতানা জ্যোতি, সানজিদা ইসলাম, খাদিজা-তুল-কুবরা, পান্না ঘোষ, ফারজানা হক পিঙ্কি, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, ঋতু মনি ও শোভানা মুস্তারি।
স্ট্যান্ড বাই: শায়লা রহমান, সুরাইয়া আজিম ছন্দা, লতা মন্ডল, পুজা চক্রবর্তী ও রাবেয়া।