

আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সূচী অনুযায়ী দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফর করার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি খেলতে চলতি বছরই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু তার আগে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে পাকিস্তানে।
বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ কিংবা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) চলাকালীন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে যাওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার। মার্চের ১৮ তারিখ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার ভাবনা প্রোটিয়াদের।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সূত্রমতে সিকিউরিটি এক্সপার্ট ররি স্টেইনের পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির হোটেল ব্যবস্থাপনা, যাতায়ত, মাঠ, লজিস্টিক সাপোর্ট তথা সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণই যে সফরের মূল উদ্দেশ্য তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল ২০০৭ সালে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের উপর হা-ম-লার পর ৬ বছর দেশটিতে খেলতে যায়নি কোন দল। ২০১৫ সাল থেকে সংক্ষিপ্ত সফরে ভিন্ন ভিন্ন সময় খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বিশ্ব একাদশ।
বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলতে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস, ডেভিড মিলার, ইমরান তাহির ও মরনে মরকেল। পিএসএল খেলতে পাকিস্তান যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকানরা হলেন রাইলি রুশো, জেপি দুমিনি, ক্যামেরুন দেলপোর্ত, ডেভিড ওয়াইস ও কলিন ইনগ্রাম। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কোচ হিসেবে পাকিস্তান সফর করে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা রাসেল ডোমিঙ্গো যদিও সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ আরেক প্রোটিয়া নিল ম্যাকেঞ্জি।
পাকিস্তান সফরের ম্যাচগুলো দিয়েই প্রত্যাবর্তন হতে পারে তারকা ব্যাটসম্যান এবিডি ভিলিয়ার্সের। অবসর ভেঙে ইতোমধ্যে জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার আগে তাঁকে খেলতে হবে কিছু ম্যাচ, করতে হবে প্রমাণ। আর সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তাঁকে দলে রাখার আভাসও দিয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।