

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদ থেকেই বাংলাদেশ দলের ট্রেনারের দায়িত্বভার মারিও ভিল্লাভারানের কাঁধে। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেবার পর ৬ বছর ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে। তবে মারিও আর থাকছেন না টাইগারদের সঙ্গে। গতকাল চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
তিন দফায় চাকরির মেয়াদ বেড়েছিল মারিও ভিল্লাভারানের। যার সবশেষটা ২০১৯ বিশ্বকাপের পর। সেদফায় দুই বছর বেড়েছিল তার চাকরির মেয়াদ। তবে সেই মেয়াদ পূর্ণ করলেন না তিনি। মূলত আইপিএলে কোন এক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সুযোগ পেয়েছেন মারিও। যেকারণে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বকে না বলে দিতে হয়েছে তাকে।
মারিও ভিল্লাভারানের চাকরিতে ইস্তফা দেবার খবর জনপ্রিয় দৈনিক সমকালকে বিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। দুই পক্ষের পারষ্পরিক সমঝোতাতেই টাইগারদের সঙ্গে মারিওর বিচ্ছেদের গল্প লেখা হয়েছে। পূর্ণমেয়াদে কোন দলের দায়িত্বে থেকে আইপিএলের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয় বলেই এমনটি করতে হলো মারিওকে।
১৯৯২-২০০৪ পর্যন্ত সময়ে মারিও ভিল্লাভারানে খেলেছেন ১১৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট এই বোলার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন ২২.৩৮ গড়ে ৩৭৮ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে মারিওর আছে ১৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট হল, ১ বার ম্যাচে ১০ উইকেট হল। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ইনিংসে ১৫ রান খরচে ৯ উইকেট।
৫৮ টি লিস্ট-এ ম্যাচও খেলেছেন তিনি। যেখানে ২৪.৩৫ গড়ে নিয়েছেন ৭১ উইকেট। ২ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট, সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রান খরচে ৪ উইকেট।
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলা মারিও কখনো সুযোগ পাননি শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের হয়ে খেলার। অস্ট্রেলিয়া থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ের পাঠ নিয়ে এসে যোগ দেন নিজ দেশে, স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসাবে ২০০৮ সালে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবার পর মারিও ভিল্লাভারানে হয়ে উঠেছিলেন টাইগারদের আস্থার জায়গা। বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে যাননি মারিও, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই কাজের ইতি টানবেন তিনি।