

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের প্রথম ধাপে ২ টি টি-টোয়েন্টি (১ টি পরিত্যক্ত) খেলেছে বাংলাদেশ দল। দুটিতেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডার ছিলো এলোমেলো। মনে হয়েছিল দলে কার কি রোল তা স্পষ্ট না।
আজ বেক্সিমকো অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদী হাসানকে তিনে নামানোর সিদ্ধান্ত মানতেই পারছেন না তিনি।
বিসিবি সভাপতি নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে যেয়ে বলেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল, তামিম যখন ছিলনা গত দুই সিরিজে। ভারতের বিপক্ষে ও ট্রাই নেশন সিরিজে লিটন দাস ও নাইম ওপেন করেছে। সো আমাদের দুজন ওপেনার এখানে আছে। আবার সৌম্য আছে যে নাকি ওপেন করতো। সেকেন্ড ম্যাচে যখন নাকি নাইম আউট হয়ে গেলো লিটনকে না নামিয়ে, সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে মেহেদী। যার সাতে খেলার কথা আমার হিসাবে, ছয়ে খেলার কথা আফিফের। ওরা কেনো তিন-চারে আসলো এটা প্রশ্নটা করেছিলাম।’
বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এক্সপেরিমেন্ট নাকি কি আমি জানিনা। তিনে অবশ্যই লিটন দাসের নামার কথা। তামিম, লিটন ও নাইমের মধ্যে দুইজন ওপেন করবে, একজন তিনে খেলবে। এটা হলো অবভিয়াস।’
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে যাননি মুশফিকুর রহিম। তো মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি ভেবেছিলেন চারে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রিয়াদের টপ অর্ডারে খেলার আগ্রহ থাকলেও একেবারে শেষে নামা রহস্যজনক লেগেছে বিসিবি সভাপতির কাছে।
‘চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। কারণ রিয়াদের খুব শখ উপরে খেলার। কিন্তু এই সিরিজে দেখেছি রিয়াদ পারলে একেবারে শেষে নামে, লাস্ট ওভারে। তো আমি এই জিনিসগুলোই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ঘটনাটা কি। ওদের সাথে যা বলার বলেছি, সব আপনাদের বলা যাবে না।’
তবে ব্যাটিং অর্ডার যা ই হোক, নাজমুল হাসান পাপনের মতে টি-টোয়েন্টিতে স্কোরবোর্ডে ১৩০-৪০ তুলে জেতা যাবে না।
‘একটা জিনিস স্পষ্ট ১৩০-৪০ করে কারো সাথেই জেতা সম্ভব না।’