

এবার অনেকটা হুট করেই প্রকাশ করা হয় বিসিএল (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) শুরুর তারিখ। গতকাল নীরবেই হয়ে যায় বিপ টেস্ট, আজ (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের অগোচরে হয়েছে প্লেয়ার্স ড্রাফটও। শুরুতে বিপ টেস্ট দেওয়ার তালিকায় নাম না থাকলেও উপর মহলের অনুরোধে বিপ টেস্ট দিতে পারলেও, ড্রাফটের অংশ হতে পারেননি তুষার ইমরান।
আগের দিন বিপ টেস্ট দিয়ে পেয়েছিলেন ৯.৮, যা বেঞ্চমার্ক ১১ এর চেয়ে কম। আজ ইমপ্রুভ দিতে এসেও সুবিধা করে উঠতে পারেননি তুষার ইমরান।
তুষার ইমরান বলেন, ‘আমি আসলে ইম্প্রুভ দিতে আসছিলাম সকালে। গতকাল ৯.৮ আর আজ ৯ এর বেশি কিছু একটা স্পষ্ট মনে নেই, চেষ্টা করেছি আরকি।’
তুষার মনে করেন হুটহাট নোটিশে বিপ টেস্টে ভালো করা কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে যারা একটু বেশি বয়সের ক্রিকেটার।
তুষার বলেন, ‘এনসিএল শেষ করলাম, এনসিএলে ১০ ছিল। সেখান থেকে হুট করে দুইদিনের নোটিশে ১০.৫ কঠিন। আপনি সময় দেন, ১৫-২০ দিন বা একমাস। বলে দেন তোমরা ১০ দাও এই বয়সের যারা আছো, তরুণরা ১১ দাও। এমন কিছু বললে নাহয় বলতাম ইয়ে করা যেত আরকি। এখন হুট করে দুইদিনের নোটিশে আপনি যদি ১০.৫ বা ১১ চান এটা কঠিন।’
বিপ টেস্টে দুই দফা পাশ মার্ক না পাওয়া তুষার ইমরানকে প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকাতেই রাখা হয়নি। তুষার জানালেন শুরুতে ডাকা হয়নি বিপ টেস্টের জন্যও।
‘প্রথম যখন শুনছি বিপ টেস্টের জন্য ৬০-৭০ জন রাখা হয়েছে শুনেছি আমাকে রাখা হয়নি। তখনই আমি বুঝে গিয়েছি সামথিং রং। উপরের লেভেল থেকে ফোন করার পর অনুরোধ করে আমাকে বিপ টেস্ট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তখনই তারা বলল আসেন বিপ টেস্ট দিয়ে যান, জাস্ট বিপ টেস্টের জন্য বিবেচনা করা আরকি। কিন্তু আমাদের জন্য ১০.৫ কঠিন, ক্রিকেট খেলতে গেলে যে ১০.৫ দেওয়া লাগবে আমাদের জন্য যারা এই বয়সী আছি তাদের জন্য আসলে কঠিন।’
এবারে দুই লেগের বদলে বিসিএল হচ্ছে এক লেগের। সেই প্রসঙ্গে তুষার বলেন, ‘অবশ্যই আমরাতো দুটো লিগ করে খেলতাম বিসিএলটা। এবার হয়তোবা সময়ের জন্য,পাকিস্তান ট্যুর আছে পাকিস্তানে যারা যাবে তারা দুটো ম্যাচ খেলতে পারবে এমন কিছু বিবেচনা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হয়তো রাজি হয়নি। আসলে এটা বোর্ডের ব্যাপার। অল্প সময়ের জন্য, এসময়টাতে আমাদের প্রিমিয়ার লিগ হওয়ার কথা ছিল। তো আমরা ওইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু হুট করে বিসিএলটা সমস্যা হয়ে গেলো আরকি।’
পড়ুনঃ বিসিএলের চার দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড।