

আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। হুট করে শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বিসিএল শুরুর। হুট করেই হলো টুর্নামেন্টের আগে বিপ টেস্ট। বিপ টেস্টে অনেকেই প্রত্যাশা মত স্কোর তুলতে পারেননি।
গতকাল (২৬ জানুয়ারি) ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট হয়। যেখানে মানদণ্ড বেঁধে দেওয়া ছিল জাতীয় লিগের মতোই ১১। যেই মানদণ্ড অনেকেই পার করতে পারেননি।
ঘরোয়া লিগের নিয়মিত মুখ আব্দুর রাজ্জাক তুলেছেন ১০.১। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রথম শ্রেণির রানের মালিক তুষার ইমরান তুলেছেন ৯.৫। জিয়াউর রহমান ১০.১ এর বেশি তুলতে পারেননি স্কোর। তুলনামূলক তরুণ এনামুল হক বিজয় ও তুলেছেন ১০.৫। কামরুল ইসলাম রাব্বি বিজয়ের চেয়ে একটু বেশি (১০.৬)।
রাজশাহীর মিজানুর রহমান ১০.১ এ আটকেছেন। স্পিনার সাকলাইন সজীব ৯.১১ এর বেশি করতে পারেননি। অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম তুলেচভহেন ১০.৫। লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার ৯.৪, অভিষেক মিত্র ৯.৬, মুকিদুল ইসলাম ১০.৩, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ১০.৫, নাদিফ চৌধুরী ৯.৮, মার্শাল আইয়ুব ৯.৭, ইলিয়াস সানি ৮.৯, মোশাররফ হোসেন রুবেল ৭.৬ স্কোর তুলে ফেল করেছেন।
১৩.২ স্কোর তুলে বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোরধারী রুয়েল মিয়া ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
আজ বিসিএলের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চ ও মধ্যাঞ্চল নিজেদের দল গুছিয়ে নেবে আজ। এবারে বিসিএলে বেড়েছে প্লেয়ারদের ম্যাচ ফি। জাতীয় লিগে ম্যাচ প্রতি ৬০ হাজার টাকা পেলেও বিসিএলে ক্রিকেটাররা পাবেন ৬৫ হাজার টাকা করে।
বিপ টেস্টটা আসলে কী? ‘মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করাই বিপ টেস্টের কাজ। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জানা যায় কি পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারে, যা ক্রিকেটারদের প্রাণশক্তির নির্ণায়ক হতে পারে।’
যা মূলত, ফিটনেস ক্যাম্পে ২০ মিটারের শাটল রানিংয়ের মাধ্যমে নির্ণায়ক করা হয় একেকজন ক্রিকেটারের বিপ টেস্টের ফলাফল।