

ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশে এসেছেন বহুবার; বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা খুব পুরোনো। এই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এমন অবস্থা থেকে হতাশ এই কিংবদন্তি। বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হয়ে লড়াই করবে এমনটাই প্রত্যাশাই করেছিলেন ওয়াসিম আকরাম। মুস্তাফিজকে ভালো করার উপায়ও বাতলে দিলেন। রিয়াদ কেনো ৬’এ ব্যাট করেন, রেখেছেন প্রশ্ন।
গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর ওয়াসিম আকরামের মুখোমুখি হয় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে উপস্থিত গণমাধ্যমগুলো। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশের এমন পারফর্ম্যান্সে বেশ হতাশ।
‘বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিলো একেবারেই নিম্নমানের, মাঠে তাদের উদ্যমহীন মনে হয়েছে। এবং মাহমুদউল্লাহ যে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, তাঁর ৪ নম্বরে খেলা উচিত ছিলো। কিন্তু সে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে এসেছে। বোলিংয়েও কোন পরিকল্পনা ছিলো না। অথচ এটা আগের দিনের চেয়ে ভালো পিচ ছিলো। সত্যি বলতে এই সিরিজ জিততে পাকিস্তানকে কোনো কষ্টই করতে হয়নি। যখন তাঁরা এসেছিল ভেবেছিলাম প্রতিদ্বন্দীতা হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁরা কিছুই দেখাতে পারেনি। মনে হয়েছে তাঁদের খেলায় কোনো প্যাশন ছিলো না। জয় পরাজয় থাকবেই কিন্তু তাঁদের খেলায় কোনো প্রাণ ছিলো না। বিশ্বকাপে তাঁরা ভালো খেলেছে, তাঁদের ধারাবাহিক হতে হবে।’
বাংলাদেশ দল অনেক নাটকীয়তার পর এসেছে পাকিস্তান সফরে। এতে খুশি ওয়াসিম আকরাম। বাংলাদেশকে দিলেন ধন্যবাদ। বাংলাদেশে নিজের স্মৃতির গল্পও আরেকবার মনে করলেন,
‘আমাদের দেশে সফর করায় আমি বাংলাদেশ দলকে, ক্রিকেট বোর্ডকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় আমার হৃদয়ের মধ্যে, আমার অনেক বন্ধু আছে সেখানে। বহুবার সেদেশে গিয়েছি, আবাহনীতে খেলেছিও।’
উইকেট শিকারিদের তালিকায় শীর্ষে থেকে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করেছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু এই মুস্তাফিজই কিনা পাকিস্তান সফরে অন্ধকারে। মুস্তাফিজের বলে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সহজেই বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪০ রান খরচে ১টি উইকেট শিকার করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু রানই খরচ করলেন।
এক সময়ের দুর্দান্ত মুস্তাফিজ কেনো পারছেন না এসময়ে নিজের সেরাটা দিতে? এর উত্তর নেই মুস্তাফিজের কাছে। কিন্তু পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম মুস্তাফিজকে ভালো করার উপায় জানালেন,
‘মুস্তাফিজের উচিত বলের রিলিজ নিয়ে কাজ করা। তাঁর কবজির পজিশন এমনভাবে থাকে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপরীত দিকে বল যেতে থাকে। হতে পারে সে একজন প্রতিভাবান বোলার, তবে তাঁকে অনুমান করে ফেলা যায়। ডানহাতির বাইরে দিয়ে যাবে আর বাহাতির ভেতরে ঢুকবে। সে এখনও তরুণ, শেখার সময় আছে। যদি আউটসুইংটা শিখে ফেলে, তবে তাঁকে খেলা মুশফিল হবে।’