

২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক হয়েছিলেন নেইল ম্যাকেঞ্জি। বলা চলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই কাজ করছেন সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। তবে এই সময়ে ব্যাটসম্যানদের উন্নতি হয়নি আশানুরূপভাবে। আর তাতে ইন্টেন্ট (অভিপ্রায়), হাঙ্গার (ক্ষুধা) এসবের অভাব দেখছেন ম্যাকেঞ্জি।
পাকিস্তানে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় নেইল ম্যাকেঞ্জির কাছে। এটাকে আদর্শ কোন পারফরম্যান্স বলছেন না ম্যাকেঞ্জি। আর সেক্ষেত্রে দায় দিয়েছেন টিম কম্বিনেশনকে।
‘আমি মনে করি এটা মোটেও আদর্শ কিছু না। যদি আপনি কম্বিনেশন দেখেন কারা খেলছে, রাসেল নতুন দায়িত্ব নিয়েছে। সে দেখতে চাচ্ছে কোন কম্বিনেশন কাজে দেয়। এই মুহূর্তে আমাদের দলে ১,২ ও ৩ এ ব্যাট করা ব্যাটসম্যান বেশি। তারা সবাইই কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান কিন্তু যদি স্কোয়াড দেখেন তাহলে দেখবেন সবাই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। চার, পাঁচ ও ছয়ে ব্যাট করতে ভিন্ন রকম স্কিল দরকার পড়ে। আপনাকে হুট করেই কোয়ালিটি স্পিনারের বিপক্ষে খেলতে হয়। আপনাকে গেম সম্পর্কে জানতে হয়, মাইন্ডসেট ঠিক করতে হয়। স্ট্রাইক রোটেট করে বাউন্ডারি আদায় করার কথা ভাবতে হয়।’
ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটসম্যানদে ইন্টেন্ট না দেখানো নিয়ে হতাশ হয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। ব্যাটসম্যানরা স্ট্রাইক রোটেট করে বোলারদের চাপে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ প্রায় দুই বছর ধরে এটা নিয়ে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
‘দলে অভিজ্ঞ কেউ নেই (মিডল অর্ডারে)। এর পরেও এটা হতাশাজনক। এক ম্যাচে আমরা ভালো একটা শুরু কাজে লাগাতে পারিনি। ব্যাটসম্যানদের ইন্টেন্ট না দেখতে পেরে আমি হতাশ হয়েছি। গত দুই বছর ধরে আমরা স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে কাজ করেছি। কিভাবে বোলারদের প্রেশারে রাখতে হয়, গত দুই টি-টোয়েন্টিতে আমি কোন ইন্টেন্ট দেখতে পাইনি।’
বাংলাদেশে অনেক ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার রয়েছে উল্লেখ করে ম্যাকেঞ্জি তাদের কাছ থেকে ধারাবাহিকতা ও রান করার ক্ষুধা আশা করছেন। অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে দায় সারা ব্যাটিং করাতে আপত্তি তার।
‘কোন সন্দেহ নেই বাংলাদেশে অনেক ট্যালেন্ট রয়েছে। আমি শুধু চাই আরো একটু কন্সিস্টেন্সি। যদি আমি ৮০ করি, সেটাকে ১০০, ১৪০, ২০০ তে পরিণত করার ক্ষুধা থাকতে হবে। সবার কাছ থেকে এই ক্ষুধাটা চাই। অনেকেই আছে যারা পরবর্তী ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পেলেই খুশি হয়ে যায়। ৪০ বা ৬০ রান করেই খুশি হয়ে যায় এই ভেবে যে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবো। এটা ভুল মানসিকতা। বিশ্বের সেরা, দেশের সেরা ব্যাটসম্যান হবার চেষ্টা করতে হবে। এটাই সবার মস্তিষ্কে ইন্সটল করতে হবে। আমরা উন্নতি করছি কিন্তু গতিটা হতাশাজনক।’