

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রান করেছেন ১২ ম্যাচে ৩৯৬। খালি চোখে ৩৯.৬০ গড়ে ব্যাট করা তামিম পেতে পারতেন বাহবা। কিন্তু ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলেই ১০৯.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ঢাকা প্লাটুন ওপেনার হয়েছেন বেশ সমালোচিত। তার মন্থর গতির ব্যাটিং নিয়ে পাকিস্তান সিরিজ শুরুর আগে প্রশ্ন করা হয় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকেও। তামিমের সাথে প্রথমবার কাজ করতে যাচ্ছেন বলে উত্তর দিয়েছেন কৌশলে।
তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও তামিম প্রদর্শন করেছেন একই রেসিপির ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে ৩৪ বলে ৩৯, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৩ বলে ৬৫! পাওয়ার প্লেতে ছিলেন নিস্প্রভ অথচ টি-টোয়েন্টি মানেই প্রথম ৬ ওভার কাজে লাগিয়ে রানের গতি সচল করা৷ তামিমের ধীরগতির ব্যাটিং চাপে ফেলেছে পরের ব্যাটসম্যানদের। দলীয় সংগ্রহ প্রথম ম্যাচে ১৪১, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৬, দল হেরেছে দুটিতেই।
বিশেষ করে গতকাল (২৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ক্রিজে ছিলেন ১৮ তম ওভার পর্যন্ত। ওপেন করতে নামা একজন ব্যাটসম্যান ১৮ তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকেও দলীয় রান ১৪০ পার করাতে পারেননি, ১২২.৬৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৩ বলে ৬৫ রান। ১৬ তম ওভারে শাদাব খানের প্রথম ৫ বল থেকে তিন বাউন্ডারিতে ১৩ রান না নিলে স্ট্রাইক রেট হত আরও নাজুক।
দেশ ছাড়ার আগে সঙ্গীর ওপর তামিমের ভূমিকা নির্ভর করবে বলে জানিয়ে যাওয়া রাসেল ডোমিঙ্গোর কন্ঠে গতকাল ম্যাচ শেষে ছিল হতাশার সুর। তামিমের উন্নতির জায়গা দেখছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়া ডোমিঙ্গো চলতি পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই কাজ করার সুযোগ পেলেন তামিমের সাথে।
প্রথম দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে তামিম প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘এটা তাঁর (তামিম) সাথে আমার প্রথম কাজ করা। কীভাবে সে টি-টোয়েন্টি খেলে প্রথম কাছ থেকে দেখলাম। আমাদের সবারই উন্নতি করার জায়গা আছে, সামনে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করি সে তাঁর খেলাতে উন্নতি করবে। এটা সত্য ওর কাজ করার জায়গা স্পষ্ট।’