
প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাই, বদল আসেনি ওপেনারে। তবে বদল আসে অন্য পজিশনে। আগের ম্যাচে ৩ নম্বরে নামা লিটন দাস আজ নামলেন ৪ নম্বরে। প্রথম ম্যাচে সেরা একাদশে না থাকা মেহেদী হাসান নামেন ৩ নম্বরে।
আগের ম্যাচে চারে নামা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আজ নামেন ৬ নম্বরে। দুই ম্যাচেই অবশ্য ৫ নম্বরে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১ম ম্যাচে ৬ নম্বরে নামার পর ২য় ম্যাচে সৌম্য নামেন আরো পরে, ৭ নম্বরে।
সৌম্য সরকার মূলত ওপেনার। টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারেও তার জায়গা হচ্ছেনা। অথচ টপ অর্ডার হবার কথা তার ব্যাটিংয়ে নামার জন্য আদর্শ জায়গা। অন্যদিকে লিটন দাসও বিশেষজ্ঞ ওপেনার। তিন বা চারে নামতে হচ্ছে তাকে। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পজিশন যেনো বড়সড় এক গোলকধাঁধা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচ ৯ উইকেটে হারার পর গণমাধ্যমকে সামলাতে হাজির হন রাসেল ডোমিঙ্গো। সেখানে ব্যাটিং অর্ডারের ব্যাখ্যা দিতে হলো টাইগারদের কোচকে।
রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘সৌম্য খুবই দারুণ একজন ক্রিকেটার। টপ অর্ডারে অনেক সুযোগ আছে। তবে আমরা শেষের দিকে ব্যাট করার জন্য এমন কাউকে খুঁজেছি যে বাউন্ডারি আদায় করে নিতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই সৌম্যকে নিচের দিকে খেলাচ্ছি। লিটনও তার নিয়মিত জায়গা থেকে বাইরে ব্যাটিং করছে। আমরা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে দেখতে চাচ্ছি। দেখতে চাচ্ছি নতুন দায়িত্বে ওরা কেমন করে।’
ভিন্ন কিছু করে দেখার চেষ্টায় বাংলাদেশ যে একটুও সফল নয় তা ফলাফলের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। দুই ম্যাচেই বলার মতো রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারেনি বাংলাদেশ। যে ভাবনায় সৌম্যকে নিচে নামানো সেই ভাবনার সাথে বাস্তবতার মিল হয়নি। শেষ দিকে সৌম্য সরকারের জন্য বরাদ্দই তো থাকছে খুব অল্প সংখ্যক বল।