

পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার থেকে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ৩৫ রান। ১১ ওভার স্থায়ী তামিম-নাইমের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৭১ রান। অনেকক্ষণ একসঙ্গে উইকেটে থাকলেও ঠিক টি-টোয়েন্টি মেজাজে রান তুলতে পারেননি দুজন। তবে এই দুজনের কাঁধে দোষ চাপাতে নারাজ টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তামিম-নাইমের ধীরগতির ইনিংস পার্থক্য গড়ে দিয়েছে কিনা। উত্তর দিতে যেয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘না, আমার মনে হয় আমরা পাওয়ার প্লে তে যেভাবে ব্যাট করেছিলাম ইট ওয়াজ টোটালি স্পট অন। নাইম আর তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বল যখন আস্তে আস্তে একটু পুরানো হচ্ছিলো তখন পিচের কন্ডিশন একটু ডিফারেন্ট হচ্ছিলো। পরে যারা ব্যাট করেছে তাদের জন্য এসেই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। তো আমার মনে হয় ঐ জায়গাতে আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। ১০-১৫ টা রান ওখানে একটু কম হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় আমি একটু বেটার ফিনিশ করতে পারতাম। আমার পারসোনালি এটা ফিল হয়েছে।’
স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াইটা শেষ ওভার পর্যন্ত চালিয়ে নিয়েছিলো বাংলাদেশ দল। সৌম্য সরকারের করা ২০ তম ওভারের ৩য় বলে যেয়ে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। শুরুর ওভারেই বাবর আজমের উইকেট নেওয়া শফিউল ইসলাম পরে নেন আরো এক উইকেট। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেনরা নেন ১ টি করে উইকেট। বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি মাহমুদউল্লাহ। তবে ফিল্ডিংয়ের যাচ্ছেতাই অবস্থাকে কাঠগড়ায় আনেন তিনি।
‘এরপরেও ১৪০ রান (আসলে ১৪১) শেষ পর্যন্ত ডিফেন্ড করতে পেরেছি। বোলারদের ভালো এফোর্টের জন্য। বোলাররা ভালো বল করলেও কিছু কিছু জায়গায় আমরা ইজি চার দিয়েছি। লেগ সাইডে আমরা ৬-৭ টার মতো ইজি চার দিয়েছি। ঐ জিনিসগুলো যদি আমরা একটু বেটার করতে পারতাম, প্লাস আমাদের ফিল্ডিংটা আরেকটু বেটার হলে ডিফারেন্ট কিছু হতে পারতো।’