

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। শোয়েব মালিকের ব্যাটে চড়ে যেখানে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। সৌম্য সরকারের করা প্রথম বলেই দুই রান নেন শোয়েব মালিক। ২য় বল থেকে আসে ১ রান। ৩য় বলে রিজওয়ান ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। মোহাম্মদ মিঠুন সহজ ক্যাচ মিস করলে ঐ বলেই লক্ষ্যে পৌছে যায় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর- বাংলাদেশ ১৪১/৫ (২০), তামিম ৩৯, নাইম ৪৩, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, আফিফ ৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*; আফ্রিদি ৪-০-২৩-১, হারিস ৪-০-৩২-১, শাদাব ৪-০-২৬-১।
পাকিস্তান ১৪২/৫ (১৯.৩), বাবর ০, আহসান ৩৬, হাফজ ১৭, মালিক ৫৮*, ইফতিখার ১৬, ইমাদ ৬, রিজওয়ান ৫*; শফিউল ৪-০-২৭-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪০-১, আল-আমিন ৪-০-১৮-১, আমিনুল ৪-০-২৮-১।
ফলাফলঃ পাকিস্তান ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)।
ইনিংসের ১৭ তম ওভারে ১৬ রান করা ইফতিখার আহমেদকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শফিউল ইসলাম। ১৯ তম ওভারে ইমাদ ওয়াসিমকে বোল্ড করে ফেরান আল আমিন হোসেন।
আহসান আলিকে ফেরালেন বিপ্লবঃ
অভিষিক্ত আহসান আলিকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ৩১ বলে ৪ চারে ৩৬ রান করে বিপ্লবের বলে সাবস্টিটিউট হিসাবে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন আহসান আলি। ১২ তম ওভারের ৫ম বলে দলকে ৮১ রানে রেখে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
হাফিজকে ফেরালেন মুস্তাফিজঃ
১৬ বলে ৩ চারে ১৭ রান করা মোহাম্মদ হাফিজকে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ম ওভারের শেষ বলে দলকে ৩৫ রানে রেখে ফেরেন হাফিজ।
বাবরকে শূন্য হাতে ফেরালেন শফিউলঃ
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাবর আজমকে সাজঘরে ফেরালেন শফিউল ইসলাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন লিটন দাস। রিভিউ নিয়েছিলেন বাবর আজম তবে কাজের কাজ হয়নি। ১ম ওভারে পাকিস্তান বাবরের উইকেট হারিয়ে তোলে ৫ রান।
অল্প রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংসঃ
২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংস। যা কিনা লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা দলের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে)- বাংলাদেশ ১৪১/৫ (২০), তামিম ৩৯, নাইম ৪৩, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, আফিফ ৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*; আফ্রিদি ৪-০-২৩-১, হারিস ৪-০-৩২-১, শাদাব ৪-০-২৬-১।
আফ্রিদি ফেরালেন সৌম্যকেঃ
৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ৫ বলে ১ চারে ৭ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন সৌম্য।
হারিস পেলেন প্রথম উইকেটঃ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে বোল্ড করে প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন হারিস রউফ। ১০ বলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ৯ রান করে আউট হন আফিফ।
রান আউট হলেন লিটনওঃ
১৩ বলে ১২ রান করে রান আউট হলেন লিটন দাস। শাদাব খানের ডিরেক্ট থ্রোতে আউট হন লিটন। পরের বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন মোহাম্মদ নাইম। ১৪.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৮ রান।
রান আউটে কাটা পড়লেন তামিমঃ
৩৪ বলে ৩৯ রান করে রান আউটে কাটা পড়লেন তামিম ইকবাল। ১১ তম ওভারের শেষ বলে পাকিস্তান পেলো প্রথম সফলতার দেখা। তিনে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস।
তামিম-নাইমের ধীরে শুরুঃ
ইনিংসের প্রথম ছক্কা আসে নাইমের ব্যাটে। মোহাম্মদ হাসনাইনের করা বলকে লং অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভার এখন অব্দি সেরা ওভার বাংলাদেশের জন্য, হাসনাইনের করা ওভার থেকে আসে ১১ রান। ৮ম ওভারে বল করতে এসেও ওভারে ১০ রান দেন হাসনাইন। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫১ রান।
ওপেনিংয়ে তামিম-নাইমঃ
তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাইম শেখ নামেন ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে। ইমাদ ওয়াসিমের করা প্রথম ওভার থেকে কোন বাউন্ডারি ছাড়া আসে ২ রান। দ্বিতীয় ওভারের ৩য় বলে মোহাম্মদ নাইমের ব্যাটে আসে প্রথম বাউন্ডারি (চার), শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে। ঐ ওভারের শেষ বলে নাইম মারেন আরো এক চার।
একাদশ আপডেটঃ
বাংলাদেশ একাদশ- তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ- আহসান আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
পাকিস্তান দলে অভিষেক হয়েছে পেসার হারিস রউফ ও ব্যাটসম্যান আহসান আলির। তবে অপেক্ষায় থাকতে হল বাংলাদেশি পেসার হাসান মাহমুদকে।
বাংলাদেশ একাদশে তিন পেসার- শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন। স্পিনার হিসাবে জায়গা পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ থেকে তুলনামূলক শক্তিশালী দল পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। পাকিস্তান জিতেছে ৮টি তে। বাংলাদেশের দুটি জয় অবশ্য দুই দলের সবশেষ তিন লড়াইয়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ খুব খারাপ করেনি টি-টোয়েন্টিতে।