

২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক হিসাবে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেখানে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ৫ নম্বরে নামা রিয়াদ শেষ ম্যাচে নামেন ৬ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়েই ৬ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন। ৫ ও ৭ নম্বরেও বেশ কয়েক ম্যাচ নেমেছেন।
কেবল ১ বার ব্যাটিং করেছেন ৩ নম্বরে নেমে। ২০১২ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৪৮ বলে ৬৪* রান করেছিলেন রিয়াদ। ২০১৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ৪ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। সেদফায় রান করেছিলেন মাত্র ১। গতবছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানদের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডারে মাহমুদউল্লাহকে প্রমোশন দেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হয়।
উত্তরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘দেখা যাক, এটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বসতে হবে। যদি আমি টপ অর্ডারে ব্যাট করার সুযোগ পাই আমি খুশি হবো। কিন্তু দলের জন্য অবদান রাখাটাই বেশি গুরুত্ব রাখে। আমি মনে করি দলের সবাই এভাবেই ভাবছে।’
মুশফিকুর রহিম নিরাপত্তা শঙ্কায় আসেন নি পাকিস্তান সফরে। এটা অন্যদের জন্য সুযোগ বললেও মুশফিকের অভিজ্ঞতাকে মিস করবেন মাহমুদউল্লাহ।
‘যেহেতু মুশফিক নেই, মুশফিকের অভিজ্ঞতাটা আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপরেও অন্য যারা খেলবে তাদের জন্য বড় একটা সুযোগ।’
বিপিএলে পারফর্ম করা সবার ওপর আস্থা আছে মাহমুদউল্লাহর, বিশেষ করে জোর দিয়ে বলেছেন তরুণদের কথা।
‘আপনি যদি বিপিএলের পারফরম্যান্স দেখেন তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো করেছে। আমাদের দলে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছে। এই সিরিজেও তরুণদের ভালো করতে দেখতে চাইবো। আর অভিজ্ঞতার কথা যদি বলেন। আমি, সৌম্য, তামিম, মুস্তাফিজ, আল আমিন, রুবেল, শফিউল সবাই দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। আমাদের দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে। যেমনটা বললাম ভালো পারফর্ম করতে আমাদের ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্সে নজর দিতে হবে।’
‘সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএলে ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তরুণরা ভালো করেছে। এই সিরিজে তাদের জন্য সুযোগ নিজেদের জাত চেনানোর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ছাপ ফেলতে সবাই মুখিয়ে রয়েছে।’