

সাকিব আল হাসান যখন আজকের সাকিব হয়ে ওঠেননি তখন থেকেই তার সাথে আছে বিশ্বের এক নম্বর হেলথ সোপ ব্র্যান্ড লাইফবয়। সাকিবের প্রথম স্পন্সর প্রতিষ্ঠানটির সাথে ইতোমধ্যে কেটেছে ৮ বছর। তথ্য গোপনের অভিযোগে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়া সত্বেও বিচ্ছেদ হয়নি তাদের একসাথে পথ চলায়। বরং আজ (২২ জানুয়ারি) ‘ডেইলি স্টার সেন্টারে’ এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাকিবের সাথে সম্পর্কটা আরও তিন বছরের জন্য পাকা করে নেয় বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার।
তাদের সাথে লম্বা সময়ের জুটি নিয়ে বলতে গিয়ে সাকিবও প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশের পোস্টারবয় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যখন আজকের সাকিব হয়ে উঠিনি তখনই লাইফবয় আমাকে তাদের পথ চলার সঙ্গী করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি লাইফবয়ের সাথে কাজ করতে গিয়ে অনুধাবন করেছি। এমন একটি ব্র্যান্ডের সাথে আরও তিন বছর থাকতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের ও সম্মানের।’
অনুষ্ঠানের আয়োজন লাইফবয় ও সাকিবকে নিয়ে কিন্তু আমন্ত্রণ পাওয়া ক্রীড়া সাংবাদিকরা কি আর এতদিন পর সাকিবকে কাছে পেয়ে ক্রিকেট সম্পর্কৃত প্রশ্ন না করে থাকতে পারে? গত ২৯ অক্টোবরের পর সাকিবকে অন্তত ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যায়নি খুব একটা। বিভিন্ন পন্যের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার সুবাধে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়েও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছে দুই একবার তবে ক্রিকেট ছিলনা সেখানকার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
কিন্তু আজ (২২ জানুয়ারি) ‘ডেইলি স্টার সেন্টারের’ হল রুম যেন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে পরিণত হয়। সাকিব হাসিয়েছেন, হেসেছেন, ভেতরের হতাশা আড়াল করে জানান দিয়েছেন যখন ফিরবেন তখন আগের থেকেও ধারালো হয়ে ফিরতে মুখিয়ে আছেন। তাঁকে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ করে বানানো লাইফবয়ের টিভিসিতে দেখা যায় সাকিব বলছেন, ‘আমি সাকিব আল হাসান, এই ২২ গজই আমার ঠিকানা। কঠিন সময় যাচ্ছে কিন্তু ফিরবো আরও কঠিন হয়ে।’
টিভিসিতেই পরের কথায় জানান দেন টাইগারদের বড় ভক্ত হয়েই আছেন দলের সাথে, ‘আর এ ক’দিন ১১ জনের দলে না থাকলেও আছি টাইগারদের সাথেই। সবচেয়ে বড় ফ্যান হয়ে।’
দলে নেই কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশ পার করছে অনেক ব্যস্ত সময়। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দল নিয়ে দূর থেকে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা হয় কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘কথা হয়, আমার কথা হয়। রেগুলারই কথা হয়। হেড কোচের সাথে তো রেগুলারই কথা হয়। সবসময় যে কোচিং স্টাফের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ক্রিকেট নিয়েই কথা বলতে হবে এমন না। অনেকের সাথেই যোগাযোগ আছে এবং কথা হয়।’