

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে পাওয়া যাবেনা নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসানকে। দলে অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন কিনা সে নিয়েও রয়েছে সংশয়, অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনায় থাকার নেই সুযোগই। ফলে তার অনপুস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, তামিমদের মধ্য থেকে একজনেরই বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে হত। তবে ভারত সফরের পর পাকিস্তান সফরেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে দায়িত্ব বর্তিয়ে বিশ্বকাপেও রিয়াদেই আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্বাচকরা। মাহমুদউল্লাহ নিজে অবশ্য এখনো সেভাবে ভাবছেন না, আপদকালীন দায়িত্ব পেয়ে দিতে চান আস্থার প্রতিদান।
এদিকে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আগেরদিন জানিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই তার পছন্দ। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার আগে আজ (২১ জানুয়ারি) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও প্রশংসা করেছেন অভিজ্ঞ এই কোচের। তবে পূর্ন মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেলে দল নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোচের চোখে রিয়াদই অধিনায়ক। তবে নিজে সেতা এখনই ভাবতে নারাজ, আপাতত পাকিস্তান সফর নিয়েই যত ভাবনা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের। এ প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘আমি এখনও জানি না। যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই সিরিজের জন্য। আমি চেষ্টা করবো আমার দায়িত্বতা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে। যেহেতু সিরিজ বাই সিরিজ অধিনায়কত্বের দায়িত্বটি আসছে।’
কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর প্রশংসা করে পাকিস্তান সফরে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক যোগ করেন, ‘অবশ্যই ওর (কোচ) যদি আমার প্রতি আস্থা থাকে তাহলে ধন্যবাদ এবং আমার মনে হয় রাসেল অনেক অভিজ্ঞ একজন কোচ এবং সে জানে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে কিভাবে সামলাতে হয়। আমার মনে হয় সবাই এই জিনিসটি বুঝে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছেন।’
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় ভারত সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব না দিলেও আবারও পাকিস্তান সফরের তার উপরই নির্বাচকরা রেখেছে আস্থা। এদিকে আভাস মিলছে বিশ্বকাপেও তারই অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেলে দল গুছাতে সুবিধা হবে বলে মত রিয়াদের।
‘পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্ব দিলে তো আমার কাছে অবশ্যই মনে হয় পরিকল্পনার জন্য সাহায্য হবে। এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি যে আমাকে যেহেতু এই সিরিজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমি চেষ্টা করবো যেন এই সিরিজে ভালো ফলাফল করতে পারি।’
ভারত সফর থেকেই কোচের সাথে বিশ্বকাপ দল গুছানো নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে আরও যোগ করেন, ‘মোটামুটি কম বেশি আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। পাপন ভাইয়ের কথা হয়েছে। যখন রাসেল বাইরে ছিল এবং আমরা বিপিএল খেলছিলাম তখনও হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে।’
‘এমনকি আমরা যখন ভারতেও ছিলাম তখন আমরা কিভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গঠন করবো সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমার মনে হয় যে সবার সুযোগ থাকবে এবং কে কখন এই সুযোগ নিতে পারবে দলে জায়গা পাকা করতে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’