

ঘরে বাইরে যেখানেই খেলা হোক বাংলাদেশের স্কোয়াডে স্পিনারদের বাড়তি গুরুত্ব থাকে সবসময়ই। অথচ উপমহাদেশে খেলা হওয়া সত্বেও পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াডে আধিক্যতা পেসারদের। মূলত চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখেই পেসারদের পরখ করে দেখা ও পর্যাপ্ত সুযোগের ব্যবস্থা করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন ৫ স্বীকৃত পেসার, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত বল হাতে নেওয়া সৌম্য সরকারকে ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৬ জনে। স্কোয়াডে নেই বিশেষজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার যা বেশ লম্বা সময় পর দেখা গেল বাংলাদেশের স্কোয়াডে। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে অফ স্পিনার হিসেবে আছেন আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান। যাদেরকে মূল একাদশে মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই ব্যবহার করার কথা।
অন্যদিকে অধিনায়ক মাহমমুদউল্লাহ রিয়াদও চাইলে হাত ঘুরাতে পারেন দলের প্রয়োজনে। পেসারদের ভীড়ে স্পিন ব্যাক-আপ ভালোই বলা যায়, তবে বিশেষজ্ঞ স্পিনার অন্তর্ভুক্ত না হওয়াতেই স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মোটাদাগে নজর দেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপকে। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তান সিরিজের উদ্দেশ্যে আগামীকাল দেশ ছাড়বে টাইগাররা। শেষদিনের অনুশীলনের ফাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেদলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জানিয়েছেন বিশ্বকাপে মনোযোগ দিয়েই রুবেল, মুস্তাফিজ, শফিউলদের দিকে চোখ টিম ম্যানেজমেন্টের।
এ প্রসঙ্গে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যদি প্রোপার ভ্যারাইটির পেস বোলার থাকে তো ওটা বেশি সাহায্য করবে। আপনি যেটা বলছেন অস্ট্রেলিয়ায় হয়তো ওভাবে স্পিনারদের খেলতে হবেনা। তাদের মূল কাজ উপমহাদেশেই দেখে থাকি সেক্ষত্রে পেস বোলারদের ওখানে (অস্ট্রেলিয়া) বড় ভূমিকা। বিপিএলে দেখেছি আমাদের পেসাররা বেশ ভালো করেছে, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা এটা (পাকিস্তান সিরিজে) ডিজার্ভ করে।’
সুযোগ পাওয়া স্কোয়াডের পেসাররা ভালো করবেন বলে বিশ্বাস রিয়াদের, ‘আল আমিন, সুহাস (শফিউল ইসলামের ডাকনাম), রুবেল, মুস্তাফিজ অনেক ভালো করেছে। আমি খুব চিন্তিত না যে আমাদের প্রোপার স্পিনার আছে কি নাই। আমার মনে হয় আমাদের এবারের মিশনে পেস বোলিং সাইডটা বেশ অভিজ্ঞ। আস্থা রাখবো আমি আমার পেস বোলারদের উপর।’