

নিজ দেশের বোলিং কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়ে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের চাকরি থেকে ইস্ততফা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। তার চলে যাওয়াতে ফাঁকা হওয়া জায়গা এখনো পূরণ হয়নি। দিন কয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই আসতে পারে ঘোষণা। তিনজনকে শর্ট লিস্টে রাখলেও ক্যারিবিয়ান ওটিস গিবসনই শেষ পর্যন্ত হতে যাচ্ছেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ উঠেছে বেশ জোর গুঞ্জন।
বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞ এই কোচ নিজেই জানিয়েছিলেন বিসিবির সাথে হচ্ছে আলোচনা। বিসিবির সূত্রমতেও অনেকটা নিশ্চিত গিবসনই হতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ-রুবেলদের কোচ। পাকিস্তান সফর সামনে রেখে আজ (১৯ জানুয়ারি) থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প। পেস বোলিং কোচ হিসেবে আপাতত হাই পারফরম্যান্স দলের চাম্পাকা রামানায়েকের অধীনেই তালিম নিচ্ছেন আল আমিন, রুবেল, মুস্তাফিজরা।
প্রথম দফায় পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারই যাওয়ার কথা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে। তবে স্থায়ী কোচ হিসেবেও একজনকে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিসিবি। দুই একদিনের মধ্যে আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। এমনকি নিয়োগের পরই তাঁকে দলের সাথে পাকিস্তান পাঠানোর আলোচনাও চলছে বলে জানান বিসিবি বস।
চূড়ান্ত ঘোষণা আজ-কালের মধ্যে
মিরপুরে আজ দলের অনুশীলন দেখতে ও ক্রিকেটারদের সাথে কথা বলতে এসে নাজমুল হাসান পাপন পেস বোলিং কোচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ‘বোলিং কোচ মোটামুটি ফাইনাল। চুক্তি করার আগে নিশ্চিত করছি না, তবে মোটামুটি আমরা সবকিছু ঠিক করে ফেলেছি। ঘোষণা আজকে না হলেও কাল চলে আসবে। দলের সঙ্গে সফর করবে কিনা সেটা নিয়েই কথা হচ্ছে। ‘
এদিকে গুঞ্জন সত্য হলে ওটিস গিবসনই হতে পারেন সেই চূড়ান্ত ব্যক্তি। যার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলের কোচ হিসেবে কাজ করার। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ছিলেন ওটিস গিবসন। এর আগে (২০০৭-২০১০) ও পরে (২০১৫-১৭) দুই দফা ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে গিবসন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব নেন, যে দায়িত্ব শেষ হয় ২০১৯ সালে।