

পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে আজ থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে অভয় দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি পরিচালকরা কে যাবেন তা নিশ্চিত না হলেও বিসিবি সভাপতি যাচ্ছেন পাকিস্তানে।
মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এর আগে আমি যখন ইনডিভিজুয়ালি কথা বলেছি সেখানে সিনিয়ররাই বেশি ছিল। সবার সাথে তো কথা হয়নি, কথা হয়েছিল তামিম, মুশফিক, রিয়াদদের সাথে। ভাবলাম যে আজকে এখানটাই পাবো। আমার একটু ইমার্জেন্সি কাল বাইরে (দেশের বাইরে) যেতে হচ্ছে। আমি চলে আসবো ২২ তারিখে। তো আমি ওদের সাথে ট্রাভেল করতে পারছি না। তো এটাই বলতে আসছিলাম, ওরা ভাবতে পারে আমি যাচ্ছি না। ওটাই বলতে এসছিলাম যে ২৩ তারিখে যেয়ে আমি তোমাদের সাথে ইন শা আল্লাহ দেখা করবো।’
দলের সঙ্গে কোচিং বা সাপোর্ট স্টাফের নিয়মিত মুখের অনেকেই পাকিস্তান যাচ্ছেন না। সেসব জায়গা কারা পূরণ করবেন সেটা নিয়ে আজ আলোচনায় বসবেন বিসিবি বস।
‘সাপোর্ট স্টাফ কারা যাচ্ছে সেটা নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারা যাচ্ছে সেটা দেখতে হবে, সেটা নিয়েই বসবো। যাওয়া-আসার পথ টাও দেখবো। ট্রাভেলিংয়ের ক্ষেত্রে বেস্ট অপশন টা কি। ওরা ২৩ তারিখ সকালে যেয়ে পৌঁছাবে। ২২ তারিখ রাতে রওয়ানা দিচ্ছে, ২৩ তারিখ সকালে যেয়ে পৌঁছাবে। তাহলে কি হবে? প্র্যাকটিস হচ্ছে না। একদিন আগে যাওয়া যায় কিনা সেটা নিয়ে কথা বলবো। ওরা যেটা বলছে ২৩ তারিখ বিকালে হালকা প্র্যাকটিস সেশন রেখেছে। খেলার মধ্যেই ওরা ছিল আর ২৪ তারিখে খেলা দিবারাত্রির তাই রেস্ট পাবে।’
ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা দেখে আশান্বিত বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওদের ফিল টা বুঝতে চাচ্ছিলাম। দেখলাম মোটামুটি সবাই চার্জড আপ আছে।’
বিসিবি সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করা হয় দলের সাথে কোন বোর্ড পরিচালকরা যাচ্ছেন কিনা। বিসিবি সভাপতি উত্তর দিলেন একটু রসিকতার সুরেই।
‘প্রেসিডেন্ট যাচ্ছে, পরিচালকদের আর কোন দরকার আছে? (হাসি)। যাবে ইন শা আল্লাহ। জিজ্ঞাসা করলাম নান্নু যাচ্ছে? বললো যাচ্ছে, আকরাম যাচ্ছে? বললো মনে হয় যাচ্ছে। সব কনফার্ম করেনি। এগুলো নিয়েই বসবো। ইন্ডিয়া ট্যুরে ম্যানেজার অপারেশন্স সাব্বির ছিলেন, এখানেও থাকবেন।’
ক্রিকেটারদের অভয় দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘সিকিউরিটি নিয়ে বেশি কথা বলিনি। সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা না, খেলা নিয়ে চিন্তা। মাথার মধ্যে এগুলো থাকলে খেলাটা ন্যাচারালি আসেনা। মেন্টাল পিস ছাড়া ক্রিকেট খেলা কিন্তু খুব কঠিন। টি-টোয়েন্টি এমনিতেই হাই টেন্সড খেলা, প্রতি বলে খেলা ঘুরে যায়। বললাম, ঠান্ডা মাথায় খেলবা, ইন শা আল্লাহ কিছু হবে না। আমি আসছি, থাকবো-একসঙ্গে খাবো; কোন অসুবিধা নেই।’