

১৭ জানুয়ারি শেষ হলো বিপিএলের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএল। যেখানে ৪৬ ম্যাচ শেষে চ্যম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বিদেশী পেসারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উইকেট পেয়েছেন দেশী পেসাররা। শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা দশে কেবল ১ জন স্পিনার।
প্লে অফে উঠতে পারেনি রংপুর রেঞ্জার্স। তবে ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক মুস্তাফিজুর রহমান। যদিও এককভাবে না। ১৩ টি করে ম্যাচ খেলা মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স) ও রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) এবং ১৪ টি ম্যাচ খেলা রবি ফ্রাইলিঙ্কেরও আছে ২০ টি করে উইকেট।
আনক্যাপড বাংলাদেশি পেসার খুলনা টাইগার্সের শহিদুল ইসলাম বল হাতে পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন। ১৩ ম্যাচ ১৯ উইকেট শিকার করে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার দিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা। ফাইনালে নাজমুল হোসেন শান্ত আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ (শহিদুলের বলে) নিতে পারলে শীর্ষে থেকেই শেষ করতে পারতেন শহিদুল।
শুরুতে দল না পাওয়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মেহেদী হাসান রানা এবারের বিপিএলে ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ১০ ম্যাচে মাত্র ১৫.৮৩ গড়ে ১৮ উইকেট নেন তিনি। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সেরা দশে একমাত্র স্পিনার আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। ১৫ উইকেট নেন ১১ ম্যাচ খেলা রংপুর রেঞ্জার্সের লুইস গ্রেগরিও।
১৪ টি করে উইকেট নিয়েছেন রাজশাহী রয়্যালসের মোহাম্মদ ইরফান, সিলেট থান্ডারের এবাদত হোসেন ও রাজশাহী রয়্যালসের দলপতি আন্দ্রে রাসেল।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শীর্ষ ১০ উইকেট সংগ্রাহক-
মুস্তাফিজুর রহমান (রংপুর রেঞ্জার্স)- ২০
মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স)- ২০
রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ২০
রবি ফ্রাইলিঙ্ক (খুলনা টাইগার্স)- ২০
শহিদুল ইসলাম (খুলনা টাইগার্স)- ১৯
মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ১৮
মুজিব-উর-রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)- ১৫
লুইস গ্রেগরি (রংপুর রেঞ্জার্স)- ১৫
মোহাম্মদ ইরফান (রাজশাহী রয়্যালস)- ১৪
এবাদত হোসেন (সিলেট থান্ডার)- ১৪