

১৭ জানুয়ারি শেষ হলো বিপিএলের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএল। যেখানে ৪৬ ম্যাচ শেষে চ্যম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ব্যাট হাতে সফল হয়েছেন দেশীয় ব্যাটসম্যানরা। শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা দশে সাত জনই বাংলাদেশের।
১৪ ম্যাচের ১৪ ইনিংসে ব্যাট করে শীর্ষে থাকা খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশোর রান ৪৯৫। ৪৫ গড়ে রান করা রুশোর স্ট্রাইক রেট ১৫৫.১৭। ২ বার কোন রান না করে আউট হওয়া রুশো বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ফিফটি করেন ৪ টি।
৪৯১ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে খুলনা টাইগার্স দলপতি মুশফিকুর রহিম। ৭০.১৪ গড়ে ও ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন মুশফিক। দুইবার খুব কাছে যেয়েও সেঞ্চুরি পাননি, ফিফটি রুশোর সমান ৪ টি।
ঠিক ৪৫৫ রান নিয়ে যৌথভাবে ৩ নম্বরে আছেন রাজশাহী রয়্যালসের লিটন দাস ও শোয়েব মালিক। লিটন রান করেছেন ৩২.৫০ গড়ে ও ১৩৪.২১ স্ট্রাইক রেটে। শোয়েব মালিক রান করেছেন ৩৭.৯১ গড়ে ও ১৩০ স্ট্রাইক রেটে। দুজনেরই ফিফটি ৩ টি করে।
দল প্লে অফে উঠতে না পারলেও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স দলপতি ডেভিড মালান ছিলেন ব্যাট হাতে সফল। মাত্র ১১ ম্যাচেই ৪৪৪ রান করেন মালান। ৩ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরি করা মালান রান করেছেন ১৪৫.০৯ স্ট্রাইক রেটে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ইমরুল কায়েস ব্যাট হাতে ছিলেন সফল। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ধীরে খেলা তামিম রান করেছেন ৪০০ ছুঁইছুঁই। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ওপেন করতে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রুবর পারফরম্যান্স ছিলো নজরকাড়া। নিজ নিজ দল প্লে অফে উঠতে ব্যর্থ হলেও রংপুর রেঞ্জার্সের মোহাম্মদ নাইম ও সিলেট থান্ডারের মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাট হাতে ছিলেন সফল।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শীর্ষ ১০ রান সংগ্রাহক-
রাইলি রুশো (খুলনা টাইগার্স)- ৪৯৫
মুশফিকুর রহিম (খুলনা টাইগার্স)- ৪৯১
লিটন দাস (রাজশাহী রয়্যালস)- ৪৫৫
শোয়েব মালিক (রাজশাহী রয়্যালস)- ৪৫৫
ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)- ৪৪৪
ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ৪৪২
তামিম ইকবাল (ঢাকা প্লাটুন)- ৩৯৬
আফিফ হোসেন ধ্রুব (রাজশাহী রয়্যালস)- ৩৭০
মোহাম্মদ নাইম (রংপুর রেঞ্জার্স)- ৩৫৯
মোহাম্মদ মিঠুন (সিলেট থান্ডার)- ৩৪৯।