

১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮৩ রান তুলতেই দল হারিয়েছে ৫ উইকেট, ১৫ ওভার শেষে দলের রান ৮৯! শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭৬ রান, ক্রিজে আসা যাওয়ার মিছিলে লেজের ব্যাটসম্যানরা। এমন কঠিন হয়ে পড়া ম্যাচই আন্দ্রে রাসেল ঝড়ে ৪ বল হাতে রেখে জিতে নেয় রাজশাহী রয়্যালস। গতকাল (১৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার ২২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ফাইনালে খুলনা টাইগার্সের সঙ্গী হল পদ্মাপাড়ের দলটি।
শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ৩৭ যেখানে রুবেল হোসেনের করা ১৮তম ওভার থেকে আসে মাত্র ৬ রান। শেষ বলে ৬ হাঁকানোর আগে চার বল খেলে পরাস্ত হন রাসেল। ইয়র্কার লেংথের দুই ডেলেভারিতে পান পায়ে চোটও। ওই ব্যথাই ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারকে তাতিয়ে দিল কিনা! এরপর ম্যাচ শেষ করতে নেননি বেশি সময়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রয়্যালসের দিকে ছোঁড়া হয় প্রশ্ন- কি খেয়ে নেমেছিলেন তিনি? উত্তরে রাসেল জানান, ‘ম্যাচের আগে কিছু ফল ও ডাবের পানি খেয়েছি। আপনিও এখন ফল ও ডাবের পানি খেতে পারেন।’
দুর্দান্ত এক ম্যাচ জিতিয়ে দলকে ফাইনালে তুলে আসলেন সংবাদ সম্মেলনে। বিনোদনের জন্য ক্যারিবিয়ানদের খ্যাতি বেশ দারুণ, ফাইনাল নিশ্চিতের পর রাজশাহী অধিনায়ক রাসেলও সংবাদ সম্মেলন শুরু করলেন শিস বাজিয়ে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন মজা করে, চোখে-মুখে স্পষ্ট ফুরফুরে মেজাজ। কঠিন পরিস্থিতিতে ২২ বলে ২ চারের সাথে ৭ ছক্কায় রান করেছেন ৫৪!
রাসেল বলছেন এমন পরিস্থিতি কিংবা আরও কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতেই যত স্বাচ্ছন্দ তার, ‘আমি আগেই বলেছি এ ধরণের পরিস্থিতিতে খেলতেই আমি ভালোবাসি। আমাদের হয়তো ১২, ১৩ কিংবা ১৪ (শেষদিকে) করে লাগছিল। কিন্তু ১৫, ১৬ করে লাগলে আমি আরও উপভোগ করি। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত টিকলে দল জিতিয়েই ফিরতে পারবো।’
‘আমি কখনোই কোন পরিকল্পনা করে রাখিনা, ওপেন মাইন্ডসেটই আমার মূল শক্তি। ডেথ ওভারে বোলারের করণীয় খুব সীমিত, তারা মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকে। ব্যাট হাতে আপনি তাদের উপর চড়াও হতে পারলেই যেকোন কিছু সম্ভব। আমিও সেটাই ভাবছিলাম। দুই তিনটা ওভার ঠিকমত ব্যাটে-বলে হলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।’