গেইল-রিয়াদ ঝড়ের পরেও রানের পাহাড় গড়া হলোনা চট্টগ্রামের

ক্রিস গেইল ইরফান শুক্কুর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স রাজশাহী রয়্যালস
Vinkmag ad

আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা খুলনা টাইগার্সের সঙ্গী হচ্ছে কারা? ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নাকি টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ আরেক ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আজ (১৫ জানুয়ারি) ক্রিস গেইলের ঝড়ো ফিফটির পরও রাজশাহীর জন্য ১৬৪ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পারেনি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দলটি।

আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ক্রিস গেইল। ২ ম্যাচে রান করেছেন ৬১, স্ট্রাইক রেটও ছিলনা ঠিক গেইলময়। আর তখন থেকে ধারণা করা হচ্ছিল গেইল বুঝি তার ব্যাটকে শানিত করছেন রাজশাহীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য! ইঙ্গিতও দিয়েছেন অনেকটা সেরকম। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ ইরফানের প্রথম ওভার মেইডেন দেন জিয়াউর রহমান।

পরের ওভারে দুই চার এক ছক্কায় নেন ১৬ রান। পরের ওভারেই জিয়া ৬ রান করে ফিরে গেলেও গেইল ছিলেন ছন্দে। শোয়েব মালিকের করা চতুর্থ ওভার থেকে নেন ১৮ রান। অন্যপ্রান্তে ইমরুল কায়েসও (৫) দ্রুত ফিরলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান তোলেন গেইল। অধিনায়ককে নিয়ে ২৫ বলের জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। ততক্ষণে মাত্র ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন গেইল। ২৪ বলে ৬ চার ৫ ছক্কায় ৬০ রান করে আফিফ হোসেনের বলে বোল্ড হলে ভাঙ্গে জুটি।

গেইলের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও, ফিরেছেন ১৮ বলে সমান তিনটি করে চার ছক্কায় ৩৩ রান করে। মোহাম্মদ নওয়াজের করা ওই ওভারে নুরুল হাসান সোহানও ফিরে যান খালি হাতে। চট্টগ্রামের রানের চাকা যেন আঁটকে যেতে থাকে। চ্যাডউইক ওয়ালটনকে (৫ )ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে ১২৪ রানে পরিণত করেন অলক কপালি। মাত্র ১০ ওভারে ১১১ রান তোলা চট্টগ্রাম পরের ৫ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ১৭ রান।

২০০ পার করার সম্ভাবনা জাগানো চট্টগ্রাম শেষদিকে আসেলা গুনারত্নের ব্যাটে চড়ে পার করে ১৫০ রান। মোহাম্মদ ইরফানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে গুনারত্নে করেন ২৫ বলে ৩১ রান। চট্টগ্রাম পায় ৯ উইকেটে ১৬৪ রানের লড়াইয়ের পুঁজি। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। একটি করে শিকার আন্দ্রে রাসেল, আফিফ হোসেন ও অলক কপালির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস শেষে):

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৪/৯ (২০), জিয়া ৬, গেইল ৬০, ইমরুল ৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ওয়ালটন ৫, সোহান ০, গুনারত্নে ৩১, এমরিট ৩, রুবেল ৮*, নাসুম ০, রানা ০*; ইরফান ৪-১-১৬-২, নওয়াজ ৪-১-১৩-২, আফিফ ১-০-২০-১, কাপালি ৩-০-১৯-১, রাসেল ৪-০-৩৫-১।

নাজমুল হাসান তারেক

Read Previous

ট্রফি নয়, উন্মোচিত হল ট্রফি রহস্য!

Read Next

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কাছে ব্যাখ্যা চান রায়ান বার্ল

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
8
Share