

একদিন আগেও নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি ছাড়া টেস্ট খেলতে না চাওয়ার অবস্থানেই অনড় বিসিবি। তবে দুবাইতে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের সাথে দেখা করে টেস্ট খেলতে না গেলে কি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বাংলাদেশ তা সম্পর্কে জেনে আসবেন। যদিও কয়েক ঘন্টা পরই খবর আসে পিসিবি সভাপতি এহসান মানিও নাজমুল হাসান পাপনের সাথে বৈঠক করতে উপস্থিত থাকছেন দুবাইতে।
তবে এই বৈঠকেই যে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে কে জানতো? বিশেষ করে দেশ ছাড়ার আগে বিসিবি সভাপতির শক্ত অবস্থানই এমন ভাবনা মাথায় না আনতে শক্ত ভূমিকা রাখে। আজ (১৪ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই পক্ষই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিশ্চিত। তিন ভাগের এই সূচীতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটি ওয়ানডেও।
বিসিবির প্রস্তাব ছিল আগে টি-টোয়েন্টি খেলে আসা, আর সে অনুযায়ী প্রথম ভাগে তিনটি টি-টোয়েন্টিই খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও একটি টেস্ট খেলতে যাবে টাইগাররা। দিন বিশেকের বিরতিতে আবারও নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ানডে ও বাকি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে উড়াল দিবে বাংলাদেশ।
View this post on Instagram
Details- https://bit.ly/2Ty2Csz #PAKvBAN #BANvPAK #Cricket #Bangladesh #Pakistan
নিজেদের পরিস্থিতি বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ এমনটাই মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আর এ জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিসিবি বস বলেন, ‘আমি অবশ্যই পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পরিস্থিতি বোঝার জন্য। আমরা খুবই আনন্দিত যে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। এটা আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যানকে শ্রদ্ধা জানানোর আন্তরিক প্রচেষ্টার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো।’
এদিকে পিসিবি সভাপতি এহসান মানিও সফর নিশ্চিত হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বেশ আনন্দিত যে আমরা বেশ ভালো একটা সমঝোতায় এসেছি যা ক্রিকেটের মত একটি খেলার বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের মত দুটি গর্বিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশকে একমত করেছে। আমি আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যে নেতৃত্ব উনি দেখিয়েছেন এবং দু’দেশে খেলাধুলা অব্যাহত ও সমৃদ্ধ করা নিশ্চিত করার জন্য।’