

প্রায় ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, অনেক চড়াই উতরাই পাড়ি দিয়ে এসেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অভিষেকের পর থেকে দেশের অন্যতম সেরা পেসার হয়েই আছেন। শেষ ৫ বছর দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়ে আমূলেই বদলে দিয়েছেন ওয়ানডে দলের চেহারা। অথচ শেষদিকে এসে মাঠের পারফরম্যান্সে হয়েছে অবনতি, অবসর বিতর্কে জর্জরিত বাংলাদেশ কাপ্তান।
চোটে পড়ে বারবার ফিরে এসেছেন, দাঁতে দাঁত চেপে করেছেন লড়াই। মাঠের ক্রিকেটে নিবেদিত প্রাণ মাশরাফির পড়ন্ত বেলায় পড়েছেন অবসর বিড়ম্বনায়। ভক্ত সমর্থকদের পাশাপাশি বিসিবিও চায় বেশ আয়োজন করে মাশরাফিকে বিদায় জানাতে। তবে নাছোড়বান্দা মাশরাফি বলছেন খেলে যাবেন যতদিন উপভোগ করবেন, জাতীয় দলেই খেলতে হবে এমন কিছু জরুরী নয়। ঘটা করে বিদায় নেওয়াতেও আপত্তি তার।
সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মাশরাফি-বিসিবির সামনে প্রায় প্রশ্ন ছোঁড়া হচ্ছে ওয়ানডে অধিনায়কের অবসর প্রসঙ্গে। মাশরাফি নিজে কি আদৌ প্রস্তুত ছিলেন এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে? দেশসেরা এই পেসার বলছেন এমনটাই আশা করেছেন, এমনকি আজকে যারা সুপারস্টার তাদেরও পড়তে হবে এমন পরিস্থিতিতে।
গতকাল (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে এলিমিনেটর হেরে বিপিএল শেষ হওয়া ঢাকা প্লাটুন কাপ্তান সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমার মতে আমি যেটা আশা করেছিলাম তাই হচ্ছে। এটি তো সবার ক্ষেত্রেই হবে, আজকে যারা সুপারস্টার, আজ থেকে পাঁচ বছর পর তাঁদেরকেও এই পরিস্থিতিতে আসতে হবে। এটাই তো লাইফ।’
‘এখন কথা হচ্ছে যে কেউ হয়তো খুব ভালো অবস্থায় চলে যেতে চায়, চলে যায় আবার কেউ আছে যে খেলাটিকে উপভোগ করছি, খেলতে থাকি। এখন জাতীয় দল না অন্যান্য জায়গায় সেটা একটা বিষয় কাজ করে। আর আমি যেটা আশা করেছিলাম সেটাই হচ্ছে।’