

আগামীকাল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে ঢাকা প্লাটুন ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যে দল হারবে তাদেরই বিপিএল সমাপ্ত হয়ে যাবে, আর জয়ী দল যাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। চট্টগ্রামের হাতে অপশন আছে একটিই- জয়। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, ঢাকা শক্তিশালী দল, তবে চট্টগ্রাম আগের মতো ভালো খেলে এই ম্যাচও জিততে চায়।
গ্রুপ পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলে অবস্থান নিয়েছে ৪ নম্বরে। অপরদিকে ঢাকা প্লাটুনের ১২ ম্যাচে জয়ের সংখ্যা ৭, পয়েন্ট ১৪। গ্রুপ পর্বে দুই দলের ২ বারের দেখায় ২ বারই জয় এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে। নিজেদের প্রথম দেখার ম্যাচে ১৬ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ম্যাচেও চট্টগ্রাম ঢাকাকে হারায় আরও বড় ব্যবধানে; ৬ উইকেটের জয়।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়। বিদায় শব্দটি দূরে রেখে আপাতত জয়ের ছকইন আঁকছে চট্টগ্রাম ফ্যাঞ্চাইজি। চট্টগ্রামের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান বলেছেন চট্টগ্রামের হাতে অপশন আছে একটিই- জয়।
‘আমরা যেহেতু নক আউট স্টেজে এসে গেছি জেতা ছাড়া আর কোনো অপশন নেই আমাদের। দুইটা ম্যাচ অনেক ইম্পর্টেন্ট। জেতা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমরা অনেক ম্যাচে টিম হিসেবে খেলার কারণে জিততে পেরেছি। যদি ফাইনাল ধরি আমাদের হাতে তিনটি ম্যাচ থাকবে। তিনটা চিন্তা না করে একটা একটা চিন্তা করাই ভালো।’
গ্রুপ পর্বে দুই বারের মুখোমুখিতে দুইবারই জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাই একমাত্র এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার থেকে দাপুটের দিক থেকে চট্টগ্রামই বেশ এগিয়ে থাকবে। নুরুল হাসান সোহান আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদসম্মেলনে এসে জানালেন, ঢাকা শক্তিশালী দল, তবে চট্টগ্রাম আগের মতো ভালো খেলে এই ম্যাচ জিততে চায়।
‘কালকে ঢাকার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচ, আমার মনে হয় পুরোপুরি ফোকাসটা এখানেই দেয়া উচিত। আমরা যদি শতভাগ দিতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে। ঢাকা অনেক শক্তিশালী দল, ভালো দল। আমরা ঢাকার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জিতেছি। আমার মনে হয় পরবর্তী ম্যাচে যারা ভালো খেলবে, নিজেদের কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারবে তারাই জিতবে। দুইটা দলই ভালো, আশা করি প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ হবে।’
প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষ চার নিশ্চিত করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের জয়ে একক পারফর্ম্যান্স থেকে দলগত পারফর্ম্যান্স প্রভাব ফেলেছে বেশি। বিদেশিদের সঙ্গে পারফর্ম্যান্সের বিচারে চট্টগ্রাম দলে দেশি খেলোয়াড়দের পারফর্ম অনেক বেশি। এমনটা জানালেন নুরুল হাসান সোহানও।
‘আমরা দল হিসেবে খেলতে পারছি। লোকাল যারা আছে যার যেখানে ভালো করা দরকার সেখানে ভালো করছে। কেউ হয়তো মেইডেন নিচ্ছে, একটা বল ডট করে উইকেট নিচ্ছে, কারো এক বলে দুই রান দরকার লোকাল প্লেয়াররা এটা করতে পারছি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নেক্সট ম্যাচে যেন এটা করতে পারি।’
এলিমিনেটর ম্যাচে আগামীকাল সোমবার লড়বে ঢাকা ও চট্টগ্রাম। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। গ্রুপ পর্বে দেখা গেছে, টস জিতে প্রায় সব দলই আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলিমিনেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই টস নিয়ে ভাবছে চট্টগ্রামও। টসের পর চট্টগ্রামের ভাবনায় পাওয়ার-প্লে। সোহানের বক্তব্য,
‘দিনের খেলায় টসটা একটা ভাইটাল রোল প্লে করে। এখন যেটা হাতে নাই সেটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। আমরা আগে ব্যাটিং করি বা বোলিং করি প্রথম পাওয়ারপ্লেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং বা বোলিং যাই হোক বোলিং করলে চেষ্টা থাকবে যত কমের মধ্যে রাখতে পারি। ব্যাটিং করলে রান যত তুলতে পারি কম উইকেট লস করে।’