

বাংলাদেশের ক্রিকেট গৌরবের অতীত স্মৃতি রোমন্থন করতে গেলেই বেশ ভালোভাবে সামনে আসবে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্থানের আগের সময়টা বেশ ভালো সাড়া জাগানো ছিল স্কুল ক্রিকেট। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, জাভেদ ওমর বেলিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুলরা স্কুল ক্রিকেটের আবিষ্কার বললেও ভুল হবেনা। দেশের স্কুল ক্রিকেটের হারানো জৌলুশ ফেরাতে বছর চারেক আগে প্রাইম ব্যাংককে পৃষ্ঠপোষক করে কাঠামোকে ঢেলে সাজায় বিসিবি।
তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ২০ জানুয়ারী থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট ২০১৯-২০। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২০ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করে সরকার। ক্রিকেটাঙ্গনেও পড়েছে তাঁর ছাপ, বিপিএলের এবারের আসর বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বিশেষ আসরের তকমা দেওয়া হয়। নামের আগে জুড়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর নামও, মার্চে আয়োজন হতে যাচ্ছে বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একাদশের মধ্যকার প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক প্রাইম ব্যাংকও এবারের আসরকে বঙ্গবন্ধুর নামে করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ এবারের আসর প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট নয় আয়োজন হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০১৯-২০ নামে। আজ (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা নাগাদ বিসিবির প্রেস কনফারেন্স রুমে উন্মোচিত হয়ে যায় টুর্নামেন্টের লোগোও। দেশব্যাপী জেলা পর্যায়ে ৫৫৬ টি স্কুলের ১১১২০ জন ক্রিকেটার অংশ নিতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসবে।
জেলা চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর অংশগ্রহণে হবে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপর ৭ বিভাগের চ্যাম্পিয়নের সাথে ঢাকা মেট্টোর সেরা স্কুল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। দেশের মোট ৭০ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ৯৬৫ টি ম্যাচ। প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা হাই স্কুল ও রানার্স আপ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া।
লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রসিডেন্ট ও হেড অব ব্র্যান্ডস নাজমুল করিম চৌধুরী।
শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা মাথায় রেখেই এবারের টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ২০ জানুয়ারি থেকে জানান গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘স্কুল ক্রিকেটটা সবকিছু মাথায় রেখে করতে হয়, বাচ্চাদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে আমাদের স্কুল ক্রিকেটটা করতে হয়। আমরা এবার প্ল্যান করেছি জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে শুরু করার জন্য।’
‘আমি বিশ্বাস করি আমরা যেভাবে এগোচ্ছি সামনে আরও ভালো হবে। কিছু কিছু স্কুল এখন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। আমরা যদি সব স্কুলে ছড়িয়ে দিতে পারি, বাচ্চারা যদি ছোটো বেলা থেকেই ভালো ট্রেনিংয়ের আওতায় আসতে পারে সেটা আমাদের জন্য বিরাট একটা সফলতা হবে।’